পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের সখ্যতার উদাহরণ বিভিন্ন সময়েই পেয়েছে দুনিয়া। কথায় বলে, পাকিস্তানের 'সব মরশুমকালীন' বন্ধু হচ্ছে চিন। আর এই দুই রাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠতা ঘিরে নজর রয়েছে ভারতেরও। কারণ লাদাখ থেকে কাশ্মীর ইস্যু ঘিরে চিন ও পাকিস্তানের গতিবিধি বহু সময়ই এর আগে উদ্বেগে রেখেছে দিল্লিকে। তবে এবার উদ্বেগে খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সদ্য চিন থেকে সেদেশে এসেছে কিছু চিন নির্মিত যুদ্ধ ট্যাঙ্ক ও বন্দুক। তবে এই সমরাস্ত্র একেবারেই বিফলে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চিন থেকে পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহের পর সেই বন্দুক কিছুতেই ফায়ার করতে পারছিল না বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, সমরাস্ত্রের বিষয়ে বহু দিন ধরেই পাকিস্তান নির্ভর ছিল পশ্চিমী দেশের ওপর। তবে সদ্য তাদের সখ্যতা আরও গাঢ় হয়েছে চিনের সঙ্গে। আর চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের এই সম্পর্ক খুব একটা সুবিধা দিতে পারেনি ইসলামাবাদকে। উল্টে বিপাকেই পড়ে যায় ইমরান খানের দেশ। এক সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, চিনের নর্থ ইন্ডাস্ট্রিজের বন্দুকের সরবরাহ আপাতত বন্ধ রেখেছে পাকিস্তান। কারণ, বন্দুকের মান একেবারেই ভালো ছিল না। উল্লেখ্য, চিন থেকে ৮ টি আর্টিলারি বন্দুক নিয়েছে পাকিস্তান। তবে বন্দুক ট্রায়ালেই 'ফেল' হয়ে যায়। উল্লেখ্য, বন্দুকের ব্যর্থতার কথা পাকিস্তানের তরফে চিনের সংস্থাকেও জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, যুদ্ধ ট্যাঙ্কও চিনের কাছ থেকে কিনে আপাতত উদ্বেগে পাকিস্তান। চিন নির্মিত ভিটি ফোর যুদ্ধ ট্যাঙ্ক নিয়েও বিপাকে পড়ে যায় পাকিস্তান।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনার পরিকল্পনা ছিল যে, যদি এই অস্ত্রসস্ত্র ভালো জাতের হয়, তাহলে চিন থেকে আরও বেশি অর্ডার দেওয়া হবে এই সমস্ত জিনিস। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশের তালিকায় সবচেয়ে উপরে রয়েছে চিনের নাম। এদিকে, যুদ্ধট্যাঙ্ক ঘিরে পাকিস্তানের এই মনোভাব ঘিরে আপাতত ৪৪ টি যুদ্ধ ট্যাঙ্কের সরবরাহ চিন রুখে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রযুক্তিগত সমস্যার জেরে যুদ্ধট্যাঙ্ক এমন সমস্যা তৈরি করেছিল।