নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু আজ থেকে। আস্থা ভোটে হেরে গিয়েও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে প্রাক্তব বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে বেছে নিয়েছিল পিটিআই। মনে করা হচ্ছিল, লড়াইয়ে শেষের পরও লড়াই চালিয়ে যাবেন ইমরান খান। তবে আজকে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পৌঁছে সংসদীয় দলের বৈঠকে অংশ নিয়ে ইমরান খান সিদ্ধান্ত নেন যে পিটিআই অধিবেশন বয়কট করবে।
ইসলামাবাদের সংসদ ভবনে পিটিআই সংসদীয় দলের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অধিবেশন বয়কটের পাশাপাশি গণ ইস্তফা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়। যদিও গণ ইস্তফা প্রসঙ্গে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, আস্থা ভোটের দিন একবারও পাক সংসদ ভবনে দেখা যায়নি ইমরান খানকে। তবে আজকে নিজের দলের সাংসদদের আগে সংসদ ভবনে পৌঁছে যান ইমরান খান। তাঁর দলের সদস্যরা গদিচ্যুত ইমরানকে ‘ওয়াজির-ই-আজম’ বলেই সম্বোধন করেন আজও।
এদিকে পিটিআই সংসদীয় দল ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে পদত্যাগের ইস্যুতে দ্বিধা বিভক্ত বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। প্রাক্তন মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী এবং শেখ রশিদ আহমেদ দাবি করেছেন যে সাংসদরা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পরে গণপদত্যাগ করবেন এবং আলি মহম্মদ খান বলেছেন যে দলের প্রায় ৯৫ শতাংশ সাংসদ পদত্যাগের বিরোধিতা করেছেন সভায়। এদিকে শেহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে কুরেশিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে দলের সাংসদদের বয়কট করতে বলার নেপথ্যে একটা কারণ থাকতে পারে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা তো দূর পিটিআই-এর সব সাংসদের সমর্থনও পাবেন না প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রী। এই আবহে ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়ার বদলে অধিবেশন বয়কট করলে মুখরক্ষা হবে। পাশাপাশি ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রে’র তত্ত্বে অনড় থাকতে পারবেন ইমরান খান।