এক মানহানির মামলার জেরে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী খুইয়েছেন তাঁর সাংসদ পদ। মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জেরে তাঁর ২ বছরের সাজা হয়। সেই মামলায় সুরাট কোর্টের রায়ে রাহুলের সাজা হয়েছে। এরপর কেরলের ওয়েনাদের সাংসদ পদ থেকে সরে যেতে হয় রাহুলকে। এবার আরও এক নয়া মানহানি মামলায় কোর্টের সমন এসেছে রাহুলের কাছে। সঙ্গে, ওই একই মানহানি মামলায় সমন গিয়েছে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও ডিকে শিবকুমারের কাছে।
মামলা দায়ের হয়েছে কর্ণাটকে। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে এসেছে মানহানি মামলার শুনানি। রাহুল গান্ধী, ডিকে শিবকুমার, সিদ্দারামাইয়ার বিরদ্ধে ওঠা মানহানি মামলার শুনানি হবে ২৭ জুলাই। কর্ণাটকে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক এই মামলা করেছেন। বিজেপির তরফে কেশবপ্রসাদ প্রশ্ন তুলেছেন, কংগ্রেসের এক বিজ্ঞাপন নিয়ে। কর্ণাটকে ভোট চলাকালীন কংগ্রেস এক বিজ্ঞাপনে বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলে। সেই বিজ্ঞাপনে কংগ্রেস দাবি করেছিল যে, বিজেপি ৪০ শতাংশ দুর্নীতিগ্রস্ত। এছাড়াও অভিযো, বিজেপি লুঠ করেছে, ১.৫ লাখ কোটি টাকা। বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়, সেই টাকা বিজপি সরকার কর্ণাটকের তখতে থাকাকলীন ৪ বছরে দুর্নীতিতে গিয়েছে। সেই বিজ্ঞাপনের দাবির প্রেক্ষিতে এবার বিজেপির তরফে দায়ের হয়েছে মানহানি মামলা।
কংগ্রেসের ওই বিজ্ঞাপনের অংশটির দাবিকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘মানহানি’মূলক বলে দাবি করেছে বিজেপি। আর সেই নিরিখেই এই মানহানি মামলা। বিজেপির দাবি, কংগ্রেসের এমন 'ভিত্তিহীন' দাবির জেরে কর্ণাটকের বিধানসভা ভোটে গেরুয়া শিবির হেরে যায়। উল্লেখ্য, কর্ণাটক ভোটে ‘৪০ শতাংশ দুর্নীতি’ ইস্যুতে ব্যাপক চর্চা হয়। সেখানে, বিভিন্ন সরকারি দফতরের আমলারা ৪০ শতাংশ ঘুষ চান বলেও অভিযোগ শানায় কংগ্রেস। একধাপ এগিয়ে সেই সময় ‘পে সিএম’ প্রচারে মগ্ন হয় কংগ্রেস। বিজেপিকে সেই সময় তুলে ধরা হয়, এমন একটি পার্টি হিসাবে, যেখানের মন্ত্রীরা ঘুষ নিচ্ছেন জেনেও পার্টি কিছু করছে না, এমনভাবে। তেমনই অভিযোগে সরব হয় কংগ্রেস, চালায় তাদের প্রচার অভিযান। ১০ মে কর্ণাটকে ভোট গণনা হয়। আর ভোট শেষে দেখা যায়, রুদ্ধশ্বাস জয় কর্ণাটকে ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। এই ঘটনা ঘিরে রাহুল ও ডিকে শিবকুমার, সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মানহানি মামলা।