রিয়েল এস্টেট সংস্থা সুপারটেকের বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতি সংক্রান্ত এক মামলায় তদন্তে নেমেছে ইডি। ইডির সেই তদন্তের সূত্র ধরে এদিন ডিএলএফের গুরুগ্রাম অফিসে তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। উল্লেখ্য, সুপারটেক ও তার সঙ্গে থাকা প্রমোটারদের বিভিন্ন দফতর ঘিরে ফোকাস বাড়াচ্ছে ইডি। সেই সূত্র ধরেই এই তল্লাশি বলে খবর।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সংস্থা গত বেশ কয়েকদিন ধরেই এই তদন্ত তল্লাশি করছিল। জানা গিয়েছে, তল্লাশির সূত্র ধরে ইডি উদ্ধার করেছে বেশ কিছু নথি। সূত্রের খবর, শনিবার ডিএলএফ বিল্ডিংএ যে তল্লাশি অভিযান ইডি করেছে, তা সুপারটেকের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক জালিয়াতি মামলার সঙ্গে জড়িত। জানা গিয়েছে, আর্থিক জালিয়াতি সংক্রান্ত এই মামলার তল্লাশি শেষ হয়েছে শনিবার সকালে। প্রশ্ন উঠছে, সুপারটেকের মামলায় , ডিএলএফ- এর নাম কোন সূত্র ধরে জড়াল? তা নিয়ে যদিও মুখ খোলেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এর আগে, সুপারটেকের চেয়ারম্যান রাম কিশোর অরোরা ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতি ও টাকাকে বিনিয়োগকারী ও ব্যাঙ্কের থেকে ঘুরিয়ে অন্যদিকে করার অভিযোগ রয়েছে। আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তকারী সংস্থা জানাচ্ছে, ৬৩৮ কোটি টাকা হোম বায়ার (বাড়ির ক্রেতা) ও ব্যাঙ্কের থেকে নিয়ে সেই টাকা ঘুরপথে অবৈধ উপায়ে গুরুগ্রামে সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে সুপারটেক ও সংস্থার মালিক রাম কিশোর অরোরার নাম। নয়ডায় চলতে থাকা প্রজেক্ট শেষ না করে সংস্থা গুরুগ্রামে এই সম্পত্তি কেনে।
জানা যাচ্ছে, এই গোটা মামলায় আর্থিক জালিয়াতির অঙ্ক ৬৩৮ কোটি টাকা। অভিযোগ, যে টাকা ঘুরপথে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাতে বাড়ি যাঁরা কিনতে চান, তাঁদের টাকা রয়েছে। এদিকে, এই মামলার তদন্তের সূত্র ঘরে সুপারটেকের আরও একটি দিক উঠে আসে। সার্ভ রিয়েলটর্স প্রাইভেট লিমিটেড কেনার পথে ২০১৩-১৪ সালে এগোচ্ছিল সুপারটেক। সার্ভকে ২৭.৫ একর জমি কেনার জন্য কেনা হয়েছিল চলমান প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ না করেই। এদিকে, যে প্রজেক্টের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছিল, সেগুলি ততক্ষণে পুরো করাই হয়নি। এরই মাঝে ১৫৪ কোটি টাকা সুপারটেক থেকে এএসপি সরিনে দেওয়া হয়েছিল আরও একটি জমি কেনার জন্য।