গুজরাটের নারোদাগাম হত্যাকাণ্ড মামলায় বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক মায়া কোদনানি সমেত ৬৯ জন বকসুর খালাস। এই নির্দেশ দিয়েছে আমেদাবাদের বিশেষ আদালত। ২০০২ সালে গুজরাটের নারোদা গাম হত্যাকাণ্ডে মায়া কোদনানি ছাড়াও অভিযুক্তের তালিকায় ছিলেন বজরঙ দলের বাবু বজরঙ্গি। তাঁকেও বেকসুর খালাস করে কোর্ট।
২০০২ সালের নারোদা গাম হত্যাকাণ্ডে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১১ জনকে হত্যা করার অভিযোগ ছিল। সেই সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় তাঁদের মৃত্যু হয়। অভিযোগের তালিকায় ছিলেন, বিজেপির বিধায়ক মায়া কোদনানি। এরপর ২০২৩ সালের ২০ এপ্রিল আমেদাবাদের বিশেষ আদালতে বিচারপকি সুভদা বক্সি এই রায় জানান বিকেল ৫.৩০ নাগাদ। রায় বের হতেই কোর্ট চত্বরের বাইরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান শোনা যায়। অভিযুক্তের আত্মীয়দের কণ্ঠে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনিও শোনা যায়। উল্লেখ্য, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় বিভিন্ন মামলা যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, তার জন্য একটি বিশেষ কোর্টে এই মামলা তোলা হয়। সেই কোর্টে এই মামলার শুনানি চলে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। আর সেই হাইভোল্টেজ মামলার রায় আসে ২০ এপ্রিল। প্রস ঙ্গত, ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের আমেদাবাদ শহরের নারোদা গাম দাঙ্গায় ১১ জন সংখ্যালঘুর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ৮৬ জনের বিরুদ্ধে এসেছিল অভিযোগ। তাতে ১৭ জনকে মামলা থেকে ছাড় দেওয়া হয়। পরে ৬৯ জনের বিরুদ্ধে চলে মামলা। প্রতিজন অভিযুক্ত পরে জামিনে খালাস হন। এই মামলায় মোট ১৮২ জন সাক্ষী ছিলেন। তাঁদের জেরা ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর আসে কোর্টের রায়।
এই মামলায় প্রথমে অক ট্রায়াল কোর্ট কোদনানি ও বজরঙ্গিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয়। পরে গুজরাট হাইকোর্ট কোদনানিকে দোষী সাব্যস্ত করার বিষয়টি খারিজ করে। তাঁকে তখনই দোষ থেকে খালাস করা হয়। উল্লেখ্য, নারোদাগাম মামলা গুজরাটেের দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত অন্যতম হাইপ্রোফাইল কেস। ২০০২ সালে গুজরাটের ৯ টি দাঙ্গার মধ্যে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মামলা।