বেআইনিভাবে সোনা ক্রয় বিক্রয় এবং গুণ্ডা ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি মামলায় বিহারের আয়কর বিভাগের একটি দল আজ বুধবার সকাল থেকে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি এবং দেওঘরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাল। যারমধ্যে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে হরি ওম লক্ষ্মী নারায়ণ জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়েছে আয়কর বিভাগ।
দেওঘর কোর্ট রোডে অবস্থিত এই জুয়েলার্সের দোকানে দুটো গাড়িতে করে আয়করের আধিকারিকরা হানা দেন। সোনার দোকানের বাইরে বিপুল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। অভিযান চলাকালীন ক্রেতাদের ভিতরে ঢুকতে নিষেধ করা হয়। সূত্রের খবর বিহার ও ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত হরি ওম লক্ষ্মী নারায়ণ জুয়েলার্সের সমস্ত শাখাতে অভিযান চালিয়েছেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা।
আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যায়ভাবে জমি দখল ও বিক্রি সংক্রান্ত বিষয়টিকে আয়করের ভাষায় গুণ্ডা ব্যাঙ্ক বলা হয়। আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গুন্ডা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কোটি টাকার সম্পদ তুলেছেন এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করেছে আয়কর বিভাগ। উল্লেখ্য, এর আগেও বিদেশি সোনা পাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। ১০ অগাস্ট ঝাড়খণ্ড-ছত্তিশগড়ের ২২টি জায়গায় একযোগে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। তারপরে ইডি ১৬ কেজির বেশি সোনার অলঙ্কার এবং বিস্কুট ছাড়াও ৬৭১ কেজি রূপা উদ্ধার করেছিল।
এই মামলায় পাটনা হাইকোর্টের নির্দেশে বিহার একটি সিটও গঠন করেছে। যা পুরো বিষয়টির তদন্ত করছে। সিট তদন্তে কাটিহার, আরারিয়া এবং কিষাণগঞ্জে গুণ্ডা ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত সবচেয়ে বেশি মামলা খুঁজে পেয়েছে। এর জন্য, সিট বিহারের রেজিস্ট্রেশন বিভাগ থেকে ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে জমি এবং বাড়ি রেজিস্ট্রি সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে বের করেছে।