ভারতীয় ও চিনা সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তারা বুধবার লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি আলোচনায় বসেন। উভয় দেশই লাদাখ নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে। এই আবহে একটি সমাধানসূত্র বের করার জন্য একটি বৈঠক করেন দুই দেশের সেনা কর্তারা। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানসূত্র বের করার উদ্দেশে এই বৈঠক হলেও সেই অর্থে তা ফলপ্রসূ হয়েছে, এমন খবর পাওয়া যায়নি।
প্রায় তিনমাস পর দুই সেনার শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক হল লাদাখ সীমান্তে। এই বৈঠককে ধারাবাহিক বৈঠক বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে ভারতের তকফে। তবে এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল গত ২১ অগস্টের ঘটনার জেরে। সেদিন ভারতীয় পশুপালকদের ভারতীয় ভূখণ্ডেই আটকেছিল চিনা সেনা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে না উঠলেও এই সংক্রান্ত স্থায়ী সমাধান চায় ভারত। তবে চিন এই সমস্যা জিইয়ে রেখে সমস্যা তৈরি করতে চায়।
চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি সম্প্রতি পূর্ব লাদাখের ডেমচোক অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে যেতে বাধা দেয় ভারতীয় পশু পালকদের। এই ঘটনার পর ভারতীয় সেনা চিনা সেনার সঙ্গে বৈঠকে হয় চিনের। তাই বিষয়টিতে তাৎপর্যপূর্ণ চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি সম্প্রতি পূর্ব লাদাখের ডেমচোক অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে যেতে বাধা দেয় ভারতীয় পশু পালকদের। এই ঘটনার পর ভারতীয় সেনা চিনা সেনার সঙ্গে বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় সামরিক কমান্ডাররা চিনা সেনার সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের জন্য আলোচনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে ২০২০ সালে যেখানে ভারত ও চিনা সেনার ফেস-অফ হয়েছিল, সেই জায়গার খুব কাছেই ভারতীয় পশু পালকদের বাধা দেয় চিনা জওয়ানরা। বহু বৈঠকেও সমাধান সূত্রও বেরিয়ে আসেনি। এই আবহে লাদাখে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে ভারত। চিনের তরফেও নয়া নয়া ছক কষা হচ্ছে।