ভারত কী আবার লকডাউনের পথে হাঁটবে? শ্রমিক দিবসের দিনে এই প্রশ্নই এখন বড় আকার ধারণ করেছে। কারণ একদিকে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দোকান–বাজার খোলার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আবার বিকেলে খোলা থাকবে ৩টে থেকে ৫টা। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে ভারতের এখন লকডাউনের পথে হাঁটা উচিত বলে মনে করছেন জো বাইডেন প্রশাসন।
ভারতে এখন দৈনিক সংক্রমণ আতঙ্কের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। দেশে আজ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৪ লক্ষ। শনিবার গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট করোনায় সংক্রমিত হলেন ৪০২,১১০ জন। আর এই নয়া রেকর্ড নিয়েই বিশ্বে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে ভারত সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করেছে। মৃত্যু হয়েছে মোট ৩,৫২২ জনের।
দেশ শুক্রবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিল। আর মে মাসের প্রথম দিনেই পৌঁছল ৪ লক্ষে। ভারতের এই ভয়াবহ অবস্থা দেখে উদ্বেগের কথা শুনিয়েছেন আমেরিকার জো বাইডেন সরকারের প্রধান মেডিক্যাল উপদেষ্টা ডক্টর অ্যান্টনি এস ফাউসি। এক সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, ‘ভারতে করোনা শৃঙ্খল ভাঙতে এই মুহূর্তে কয়েক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের পথে যাওয়ার প্রয়োজন এখনই।’ হোয়াইট হাউজের মেডিক্যাল উপদেষ্টার এই কথা এদেশের মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। আতঙ্ক গ্রাস করেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের মনে। তাহলে কী আবার লকডাউনের পথে গোটা দেশ? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, লকডাউন রাজ্যগুলির কাছে যেন চূড়ান্ত অস্ত্র হয়।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৬২,৯১৯। কর্ণাটকে দৈনিক আক্রমণের সংখ্যা ৪৮,২৯৬ জন। কেরলে ৩৭,১৯৯ জন। মহারাষ্ট্রের গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮২৮ জনের, দিল্লিতে ৩৭৫ জনের, এবং উত্তরপ্রদেশে ৩৩২ জনের। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে ভয়ঙ্কর রুপ নিয়েছে করোনা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাকেও বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও লকডাউন নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।