আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর উপর সবথেকে বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আফগানদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তবে তালিবান নিয়ে আপাতত ধীরে চলো নীতি নিল কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে রাজ্যসভার নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়-সহ ৩১ টি দলের ৩৭ জন নেতা যোগ দেন। সূত্রের খবর, সেখানে বিদেশমন্ত্রী জানান যে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আফগানিস্তান নিয়ে একটি অধিবেশনের পৌরহিত্য করেছে ভারত। জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলেও নিজের অবস্থান জানিয়েছে। সেইসঙ্গে আফগানিস্তান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমন্বয় সাধনের কাজ করছে নয়াদিল্লি।
সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর টুইটারে জয়শংকর বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছি আমরা। বিশেষত কাবুল বিমানবন্দরের (পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন)। আপাতত আমরা উদ্ধারকাজের উপর গুরুত্ব দিচ্ছি এবং দীর্ঘকালীন সময় আফগানদের বন্ধুত্বই হল আমাদের একমাত্র স্বার্থ।’ যে বৈঠকে মোটের উপর সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছে বিরোধী দলগুলি।
তারইমধ্যে সর্বদলীয় বৈঠকে তালিবান সরকার নিয়ে কেন্দ্রের কী অবস্থান, তা জানতে চাওয়া হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জয়শংকর জানিয়েছেন যে কাবুল বা আন্তর্জাতিক মহলে কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। তাই আপাতত ধীরে চলো নীতি নেওয়া হয়েছে। বিশেষত তালিবানের মধ্যে মতপার্থক্যের জেরে আফগান সরকার নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। তালিবানি সরকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়েও ঐক্যমতে পৌঁছায়নি আন্তর্জাতিক মহল। তবে আফগানিস্তানের আইন-শৃঙ্খলা অত্যন্ত সংকটজনক। যতদিন মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে আছে, ততদিন সম্ভবত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। সেই পরিস্থিতিতে কাবুল নিয়ে আগেভাগে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা বোকামি হবে। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরই নয়াদিল্লি নীতি নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন জয়শংকর।