বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > INDIA Meet: অভিষেককে ছাড়াই ‘ইন্ডিয়ার’ বৈঠক, জাতিভিত্তিক সেনসাস, যৌথ মিটিং নিয়ে সিদ্ধান্ত

INDIA Meet: অভিষেককে ছাড়াই ‘ইন্ডিয়ার’ বৈঠক, জাতিভিত্তিক সেনসাস, যৌথ মিটিং নিয়ে সিদ্ধান্ত

ইন্ডিয়া জোটের মিটিংয়ের পরে সাংবাদিক বৈঠক। (Photo by Raj K Raj/ Hindustan Times) (Hindustan Times)

অভিষেক উপস্থিত থাকলে না। মিটিং বাতিল না করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল ইন্ডিয়া। তবে অভিষেক ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে বলেন, ওরা মিটিং করুন। বাতিল করবেন না। 

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডির দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। আর সেদিনই পূর্ব ঘোষিত জোটের সমণ্বয় কমিটির বৈঠকে বসলেন ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। বৈঠক শেষ করে যৌথ বিবৃতি পেশ করেছেন তাঁরা। সেখানে লেখা হয়েছে, কো- অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছে শরদ পাওয়ারের বাড়িতে। ১২টি সদস্য দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। 

তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিটিংয়ে উপস্থিত হতে পারেননি কারণ ইডি তাঁকে সমন করেছিল। এটা বিজেপির উদ্দেশ্য প্রণোদিত রাজনীতির নজির। কো অর্ডিনেশন কমিটির আসন সমঝোতা নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুব শীঘ্রই সদস্য দলগুলি নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবে।  কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যৌথ পাবলিক মিটিং দেশের বিভিন্ন জায়গায় করা হবে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে যৌথ পাবলিক মিটিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হবে। জাতিভিত্তিক জনগণনার বিষয়টি উত্থাপন করার ব্যাপারে মিটিংয়ের উপস্থিত পার্টিগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

সেই সঙ্গেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মিডিয়া সাব গ্রুপ সিদ্ধান্ত নেবে কোন অ্য়াঙ্করের অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়া গ্রুপের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন না। 

তবে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল আগের ইন্ডিয়া জোটের মূল মিটিংয়ে কাস্ট সেনসাসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমার। কিন্তু এটি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব বিষয় কেন এই মিটিংয়ে তোলা হচ্ছে তা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন নেত্রী। এদিকে এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেউ সেভাবে মতামত দেওয়ার মতো ছিলেন না। আর সেই মিটিংয়েই জাতিগত জনগণনার প্রসঙ্গ নিয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে খবর। 

এদিকে টিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতির পাশেই দেখা যায় একটি চেয়ার ফাঁকা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেখানেই অভিষেকের বসার কথা ছিল। 

এদিন যৌথ বিবৃতিতে এনসিপির শরদ পাওয়ার, কংগ্রেসের কেসি বেনুগোপাল, ডিএমকের টিআর বালু, আরজেডির তেজস্বী যাদব, শিবসেনা ইউটির সঞ্জয় রাউত, জেডিইউর সঞ্জয় ঝাঁ, জেএমএমের হেমন্ত সোরেন, আপের রাঘব চাড্ডা, সিপিআইয়ের ডি রাজা, জম্মু-কাশ্মীরের এনসির ওমর আবদুল্লাহ, পিডিপির মেহেবুবা মুফতি ও এসপির জাভেদ আলি সই করেছেন। 

এবার প্রশ্ন ভোপালে যে সভা করা হবে সেখানে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হবে। কিন্তু সেটা তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম কি একই মঞ্চে থাকবে? সেখানে কি তৃণমূলের দুর্নীতির প্রসঙ্গও উঠবে? 

বন্ধ করুন