নেপালের নতুন মানচিত্রে লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরা অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানাল ভারত। এই উদ্যোগ কৃত্রিম ভাবে ভূসীমা বাড়ানোর প্রচেষ্টা এবং তা কোনও মতেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানাল দিল্লি।
বুধবার কাঠমান্ডুতে নেপালের নতুন মানচিত্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সে দেশের জমি ব্যবস্থাপক মন্ত্রী পদ্মা কুমারী আরিয়াল। নতুন মানচিত্রে ওই তিন নতুন অঞ্চলকে সুদূর পশ্চিম প্রদেশের ব্যয়াস গ্রামীণ পৌরসভার অন্তর্গত বলে দেখানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে আরিয়াল আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত নেপালের এই নতুন মানচিত্র সদর্থক ভাবেই গ্রহণ করবে।
তাঁর আশায় জল ঢেলে গতকাল নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, নয়া মানচিত্রে ভারতের একাধিক জায়গা নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করেছে নেপাল। তিনি বলেন, ‘এই একতরফা সিদ্ধান্তের কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। এই সিদ্ধান্ত বকেয়া সীমান্ত বিষয়ক আলোচনার প্রেক্ষিতে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া ও নীতির পরিপন্থী। এই কৃত্রিম মানচিত্র বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ভারত মানছে না। আশা করি নেপাল সরকার লভারতের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত এবং সীমান্ত সমস্যা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা হবে।’
উল্লেখ্য জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে ২টি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের পরে ভারত নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে, যাতে কালাপানি অঞ্লকে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
নেপালের নতুন মানচিত্র দেখে সোমবার সম্মতি দেয় প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা। বুধবার আরিয়াল জানিয়েছেন, নতুন মানচিত্র অবিলম্বে কার্যকর করা হয়েছে। তাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কালাপানি সংলগ্ন গুনজি, নভি ও কুটির মতো এলাকা।
কাঠমান্ডু পোস্ট সংবাদপত্রে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক নেপালের কয়েক জন আধিকারিক জানিয়েছেন, পুরনো মানচিত্রে বাদ পড়ে যাওয়া ভারতের দখল করা কিছু অঞ্চল নতুন মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গত ৮ মে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং কৈলাস-মানস সরোবর পথের অংশ হিসেবে ধারচুলা থেকে লিপুলেখ পর্যন্ত নতুন সংস্কার করা ৮০ কিমি পথ উদ্বোধন করার পরেই ভারত-নেপাল পুরনো সীমান্ত বিবাদ মাথাচাড়া দেয়। ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুল নরভানে নেপালের অভিযোগের পিছ নাম না করে চিনের মদতের ইঙ্গিত দেওয়ার পরে তীব্র প্রতিবাদ জানায় কাঠমান্ডু।