এই মুহূর্তে পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে অচলাবস্থা জারি রয়েছে। এর মধ্যেই ভারতের পূর্বাঞ্চলে হাই অ্যালার্টে থাকছে ভারতীয় সেনা যাতে অতর্কিতে কোনও হানা হলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া যেতে পারে। এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স।
গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি কিছুটা থিতিয়ে এলেও ফের নানান রকম উস্কানিমূলক কাজ করছে চিন প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে। যদিও লাগাতার তিন বার ওই অঞ্চলে নিজেদের দখল কায়েম করার চিনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারত ।
এবার উত্তরপূর্বেও আগেভাগে ঘর গুছিয়ে রাখতে চাইছে ভারত। সেই কারণেই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে অরুণাচল প্রদেশের আনজো জেলায়, রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী।
আনজো জেলার ডেপুটি কমিশনার আয়ুষি সুদান জানিয়েছেন যে এটা ঠিক যে ভারতীয় সেনার গতিবিধি এখানে অনেকটা বেড়েছে। কিন্তু কোনও ভাবে চিনা সেনা এখানে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেছে, তেমন কোনও খবর আসেনি। গালওয়ানের পরেই যে সেনার গতিবিধি বৃদ্ধি হয়েছে, সেই কথা জানান তিনি।
প্রসঙ্গত চিনের সঙ্গে সীমান্তে অবস্থিত অরুণাচল প্রদেশ। এই রাজ্যকে নিজেদের বলে দীর্ঘ দিন ধরে দাবি করে আসছে চিন। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে এখানে পুরোদস্তুর যুদ্ধ হয়েছিল। ভবিষ্যতেও সেরকম কোনও সংঘর্ষ হলে যে অরুণাচলে তার প্রভাব পড়বে, এটা সহজেই অনুমেয়।
যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে সেনার তরফ থেকে অতিরিক্তি ফৌজ মোতায়েন করার কথা স্বীকার করা হয়নি। সেনার মুখপাত্র হর্ষ পাণ্ডে জানিয়েছেন যে দফায় দফায় অঞ্চলে সেনা বদলে যায়। এখন সেটাই হচ্ছে। নতুন ইউনিট আসছে। আপাতত ওই অঞ্চল নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলেই সেনার দাবি।
যদিও অরুণাচলের সাংসদ তাপির গাওয়ের দাবি যে প্রায়শই চিনের সেনা অরুণাচলে প্রবেশ করে। তাঁর মতে এটা নতুন কিছু না, ঘন ঘন ঘটে। আনজোর ওয়ালং ও চ্যাগলাগাম অঞ্চল সবচেয়ে বিপদের মুখে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, ১৯৬২-তে এই ওয়ালংয়েই চিনকে রুখেছিল ভারত। এখন সেখানে মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান আয়ুষি।