করোনা সংক্রমণের জেরে ধাক্কা খাবে ভারতের আর্থিক উন্নয়ন, পূর্বাভাস করল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সংস্থার দাবি, চলতি বছরে মাত্র ১.৮% থেকে ২.৮% হারে উন্নয়ন হবে ভারতীয় অর্থনীতির, যা গত চার দশকে নিম্নতম।
শুধু ভারত নয়, মহামারীর দাপটে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশেই আর্থিক সংকট ঘনীভূত পবে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সম্প্রতি দক্ষিণ এশীয় অর্থনৈতিক বিকাশ রিপোর্টে সংস্থা জানিয়েছে, ‘২০১৯ সালের শেষে যে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা জাগিয়েছিল অর্থনীতি, ন্তর্জাতিক সংকটের প্রভাবে তা তলানিতে ঠেকেছে।’
এর আগে চলতি অর্থবর্ষে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে গণ্য ভারতে উন্নতির হার ৪.৫% থেকে ৫% হতে পারে বলে পূর্বাভাস করেছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। কিন্তু সংকটের প্রভাবে তা মাত্র ১.৫% থেকে ২.৮% হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
ভারত ছাড়া করোনার প্রকোপে শ্রী লঙ্কা, নেপাল, ভূটান ও বাংলাদেশেও অর্থনীতি বেহাল হবে বলে পূর্বাভাস করেছে সংস্থা। এ ছাড়া পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মলদ্বীপে সংক্রমণের জেরে আর্থিক মন্দা দেখা দেবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণে যুঝতে গোটা দক্ষিণ এশিয়ার সরবরাহ ব্যবস্থায় ছন্দপতন ঘটেছে।
ভারতে দেশজুড়ে লকডাউন আরোপের ফলে বে-রোজগেরে হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ নাগরিক, জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সেই সঙ্গে বিরাট লোকসানের মুখে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাপের ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি, কাজ হারিয়ে ভিনরাজ্য থেকে ঘরে ফেরা শ্রমিকরা অর্থনীতির উপরে চাপ সৃষ্টি করেছেন বলেও জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
লকডাউন প্রলম্বিত হলে আর্থিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। র জেরে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় আর্থিক সংকোচন দেখা দেবে বলে জানানো হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত সংকট মোকাবিলায় ২৩০ কোটি ডলার মূল্যের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ভারেতের কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক কোটি দরিদ্রকে সাহায্য করতে তাঁদের ব্যাঙ্ক কাউন্টে সরাসরি নগদ জমা দিতে গিয়ে চাপ পড়েছে কেন্দ্রীয় কোষাগারে।