অপরাধ রোধ ও নিরাপত্তা বাড়াতে ত্রিপুরা সেক্টর থেকে শুরু করে সীমান্তে বেড়া নির্মাণে সম্মত হয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশ। এই আবহে আন্তঃসীমান্ত ফেনী নদীর অন্তর্বর্তীকালীন জল বণ্টন চুক্তির দ্রুত স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশকে বলল ভারত। ২০১১ সাল থেকে অমীমাংসিত রয়েছে ফেনী নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত চুক্তিটি। এই আবহে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশি রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনার বৈঠকে এই নদীর জল বণ্টনের বিষয়টি উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সেই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা নদীর জল বণ্টনের চুক্তির বিষয়টিও উত্থাপন করা হয়। (আরও পড়ুন: ‘এবার কি পোশাক খোলার অধিকার...’, হিজাব পক্ষের আইনজীবীকে সুপ্রিম প্রশ্নবাণ)
বুধবার ভারত-বাংলাদেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় পক্ষ ত্রিপুরা রাজ্যের জরুরী সেচের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে ফেনী নদীর অন্তর্বর্তীকালীন জল বণ্টন চুক্তি তাড়াতাড়ি স্বাক্ষর করার জন্য অনুরোধ করেছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ পক্ষ ভারতের অনুরোধের বিষয়টি বিবেচনা করছে।’ প্রসঙ্গত, ভারত ও বাংলাদেশ ২০১৯ সালে ত্রিপুরার সাব্রুম শহরে পানীয় জল সরবরাহের জন্য ফেনী থেকে ১.৮২ কিউসেক জল ছাড়ার বিষয়ে একটি পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিল। এই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ভারতীয় পক্ষ একটি ‘ইনটেক ওয়েল’ নির্মাণ করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিককে গণধর্ষণের অভিযোগ, ‘টাকা খেয়ে ছেড়ে দেয়...’,দশক পুরোনো পিটিশন খারিজ SC-র
এদিকে মঙ্গলবারের বৈঠকে, হাসিনা তিস্তার জল বণ্টনের অন্তর্বর্তী চুক্তি শেষ করার জন্য অনুরোধ করেন। ২০১১ সালে এই চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়েছিল। এই নিয়ে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, মোদী এবং হাসিনা তাঁদের আধিকারিকদের নদীগুলির দূষণ মোকাবিলায় এবং নদীর পরিবেশ উন্নত করতে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে মঙ্গলবার মোদী-হাসিনা বৈঠকের পর গুরুত্বপূর্ণ এক নদীর জলবণ্টন নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ভারত-বাংলাদেশের। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত মউ সাক্ষরিত হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয়। উভয় দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার সাথে যুক্ত এই নদীগুলি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বন্যা প্রশমনে একে অপরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমরা বাংলাদেশের সাথে বন্যা সংক্রান্ত রিয়েল-টাইম তথ্য ভাগ করে নিই।’