রাহুল সিং
একেবারে আনকোরা মাঝারি মাপের ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট খুঁজছে ভারতীয় বায়ুসেনা। মূলত বহুমুখী মিশনকে সফল করতে বায়ুসেনার এই উদ্যোগ। ইতিমধ্য়েই ভারতের এই চাহিদা মেটাতে আমেরিকান, সাউথ আমেরিকান আর ইউরোপিয়ান প্লেন প্রস্তুতকারকরা তাদের মতো করে ভারতীয় বায়ু সেনার কাছে তাদের বক্তব্য পেশ করেছে। তবে এক আধিকারিকের মতে ভারতীয় বায়ুসেনা অবশ্য তাদের মেক ইন ইন্ডিয়া মিশনকে সফল করতে চাইছে। আত্মনির্ভর ভারতের মন্ত্রকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে ভারত।
মার্কিন অ্যারোস্পেস ফার্ম লকহিড মার্টিনের C-130J, ব্রাজিলের এমব্রেয়ার ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটির C-390 মিলেনিয়াম, ইউরোপিয়ান এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেসের A-400M এয়ারক্রাফট কার্যত ভারতের চাহিদা মেটাতে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে। তবে তারা যে গোটা প্লেনটা দিয়ে দেবে এমনটা নয়। মূলত প্রযুক্তিগত দিক থেকে সেই বিদেশি ফার্ম সহযোগিতা করতে পারে।
মূলত ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স একটি নতুন ট্রান্সপোর্ট বিমান খুঁজছে। তাদের ১৮-৩০ টন কার্গো বহনের ক্ষমতা হতে হবে।
এমব্রেয়ার ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি প্রেসিডেন্ট বস্কো ডা কোস্টা জুনিয়র সোমবার জানিয়েছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার চাহিদা মেটাতে ফার্ম মোটামুটি গ্রাউন্ডওয়ার্ক করে ফেলেছে। স্থানীয় ফার্মের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভারতীয় বায়ুসেনার সেই চাহিদা মেটাতে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত গত ফেব্রুয়ারি মাসে Aero India-2023- তে C-390 এয়ারক্রাফট প্রদর্শন করা হয়েছিল।
কোস্টা জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় ভালো ভালো প্লেন আছে। কিন্তু C-390 এর একটা আলাদা ব্যাপার আছে। এর প্রযুক্তি একেবারে অত্যাধুনিক। মাল্টি মিশনে নামার ক্ষমতা রয়েছে। তবে আমাদের যে প্রতিযোগীরা রয়েছেন তারাও কোনও অংশে কম যান না। তারাও সুপ্রতিষ্ঠিত। তবে আমরা আমাদের সম্পর্কগুলি আরও সম্প্রসারিত করতে চাইছি।
এদিকে ভারতীয় বায়ুসেনা বর্তমানে 12C-130 J এয়ারক্রাফট ব্যবহার করে। এদিকে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে এমব্রেয়ার এখনও পর্যন্ত আটটি জেট বিমান ভারতকে সরবরাহ করেছে। এগুলি মূলত ভিভিআইপিদের সফরের জন্য় ব্যবহার করা হয়। তবে এয়ার মার্শাল অনিল চোপড়া( অবসরপ্রাপ্ত) ডিরেক্টর জেনারেল সেন্টার ফর এয়ার পাওয়ার স্টাডিজ জানিয়েছেন, ভারত মূলত ১৮-৩০ টন বহন ক্ষমতাযুক্ত প্লেন খুঁজছে।
এদিকে ইতিমধ্য়েই কোস্টা ভারতের সঙ্গে একাধিক মিটিং করেছেন বলে খবর। বলে রাখা ভালো, ভারতের হাতে বর্তমানে C-17, II-76 রয়েছে। এগুলি লাদাখ সেক্টরে ফোর্স মোতায়েন, ট্যাঙ্ক সহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর সহায়তা করেছিল।