বর্ডার ম্যানেজমেন্ট থেকে বর্ডার সুরক্ষিত করার ওপর জোর দিচ্ছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর লাদাখে ১৫৯৭ কিলোমিটার অঞ্চলে লাল ফৌজের হাত থেকে যাতে মুক্ত থাকে, এই জন্যই সচেষ্ট ভারতীয় সেনা। চুশূল সেক্টরে চিনের আগ্রাসনের যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও যেভাবে অধিকৃত আকসাই চিনে লাল ফৌজের বিমান গতিবিধি বেড়ে গিয়েছে, সেটা নিয়েও চিন্তত ভারত।
সেনার এক বরিষ্ঠ অফিসার জানিয়েছেন যে তারা এখন ফৌজ এমন ভাবে সরিয়েছেন যাতে আগে থেকেই আঁচ করা যায়, লাদাখের সংবেদনশীল জায়গায় কোথায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করবে লাল ফৌজ। চিনের আক্রমণাত্মক আচরণের কথা মাথায় রেখেই সেনা সরিয়েছে ভারত যাতে প্রয়োজনে সব স্থান রক্ষণ করা সম্ভব হয়।
এই সেক্টরে স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার্স ফোর্সের সংখ্যা বাড়িয়েছে ভারত। প্রসঙ্গত, এই এসএফএফ পাঁচ দিন আগে চিনের আগ্রাসনকে রুখেছে প্যাংগং সো-এর দক্ষিণ অঞ্চলে। তারপর থেকেই ওখানে গুরুত্বপূর্ণ চূড়োর দখল নিয়েছে ভারত।
ডেপসাংয়ে একটি কমব্যাট গোষ্ঠী পাঠিয়েছে ভারত যারা ওখানে লাল ফৌজের মেকানাইজড ব্রিগেডের সঙ্গে প্রয়োজনে লড়াই করতে পারবে। এছাড়াও চুমারে একটি কমব্যাট গোষ্ঠী পাঠিয়েছে ভারত।
আপাতত ডেমচক ও চুমার অঞ্চলে ভারত ভালো অঞ্চলে আছে, যেখান থেকে চিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লাসা-কাশঘর হাইওয়ে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়। চুশূলে ভারতীয় ফৌজ যেখানে অবস্থিত, সেটা থেকেই চিনের কাছে বার্তা চলে গিয়েছে যে কোনও বেগড়বাই করলে যোগ্য জবাব পাবে।
তবে এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য তেমন কিছু করছে না চিন, ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েই তারা আপাতত চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও তাতে কোনও লাভ হবে না বলে জানিয়েছেন এক বরিষ্ঠ অফিসার। পুরো সীমান্ত জুড়ে ওভাবে সেনা কোনও দেশই বছরের ৩৬৫ দিন রাখতে পারবে না, বলে মনে করে ভারত।
কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনা চললেও এখন থেকেই ভারত সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে যাতে কোনও ভাবেই পরিস্থিতি খারাপ হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, হেডকোয়ার্টার্সের সবুজ সঙ্কেতের প্রয়োজন না পড়ে।