সারা বিশ্ব থেকে ক্যাপিটাল সংস্থাগুলির কাছ থেকে বিনিয়োগ পাচ্ছে দেশের স্টার্টআপগুলি। নিক্কেই এশিয়া রবিবার এমনই এক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। 'Tracxn' নামক একটি স্টার্টআপ ট্র্যাকারের তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন লেখা হয় নিক্কেই এশিয়ার তরফে। চিনের প্রতি বিনিয়োগকারীদের উত্সাহহীনতাই ভারতের এই উন্নয়নের নেপথ্যে অন্যতম মূল কারণ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
নিক্কেই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ২১১টি তহবিল এই বছর ভারতে প্রথম বিনিয়োগ করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৬৪টি বেশি৷ আন্দ্রেসেন হোরোভিটজ, টিসিভি, ভিট্রুভিয়ান পার্টনার্স এবং জিএসভি ভেঞ্চারস ভারতে বিনিয়োগ করা সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম। এদিকে ২০১৪ সালে ভারত ত্যাগ করা সিলিকন ভ্যালির তহবিল 'ক্লেইনার পারকিন্স' ফের একবার ভারতে বিনিয়োগ শুরু করেছে। Tracxn-এর সামগ্রিক তথ্য উদ্ধৃত করে নিক্কেই এশিয়া বলে যে ৫৯৭টি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম এই বছর এ পর্যন্ত ২,২৮৪টি চুক্তি করেছে।
চিনের পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, প্রযুক্তি খাতে বেজিংয়ের নিয়ন্ত্রক ক্র্যাকডাউনের জেরে চিন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমিয়েছে। এর আগে এশিয়ায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সংস্থাগুলির প্রথম পছন্দ ছিল চিন। তবে বেজিংয়ের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে সেই আবেদন ক্ষুন্ন হয়েছে।
ব্লুমবার্গের মতে, গত নভেম্বরে জ্যাক মা-এর অ্যান্ট গ্রুপ এবং আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিংয়ের উপর বেজিংয়ের নজরদারি বাড়ার পর তা ধীরে ধীরে টেনসেন্ট হোল্ডিংস এবং দিদি গ্লোবালের মতো আরও সংস্থার উপর গিয়ে পড়ে। কারণ বেজিং ডেটা সুরক্ষা এবং সম্পদ বণ্টন পর্যন্ত সমস্ত কিছুর উপর নজরদারি বাড়িয়ে চলেছে। ব্লুমবার্গ বলেছে, এই ক্র্যাকডাউনের কারণেই চিনে বিনিয়োগের পরিমাণ কমিয়েছে। চিনা স্টকের মূল্য ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে।