পাকিস্তানে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিকাহ করলেন ভারতের বধূ অঞ্জু (৩৪)। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিজের নাম ফতিমা রাখেন রাজস্থানের বধূ। তারপর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের আপার দির জেলার ছেলে নাসরুল্লার (২৯) সঙ্গে নিকাহ করেন। যে নাসরুল্লার সঙ্গে ২০১৯ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল অঞ্জুর। তারপর ধীরে-ধীরে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। আর সেই ভালোবাসার টানেই রাজস্থানের আলওয়ারে নিজের স্বামী অরবিন্দ এবং দুই সন্তানকে (১৫ বছরের মেয়ে এবং ছয় বছরের ছেলে) ফেলে পাকিস্তানে চলে যান। থাকতে শুরু করেন নাসরুল্লার বাড়িতেই। প্রাথমিকভাবে নাসরুল্লা জানিয়েছিলেন যে তাঁদের মধ্যে কোনও প্রেমের সম্পর্ক নেই। তাঁদের বিয়েরও কোনও পরিকল্পনা নেই। কিন্তু সেই মন্তব্যের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ধর্মান্তরিত হয়ে অঞ্জুর বিয়ের খবর সামনে এসেছে।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আপার দির জেলার স্থানীয় আদালতে অঞ্জু (ফতিমা) এবং নাসরুল্লার নিকাহ সম্পন্ন হয়। জেলার মোহরার সিটি থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, 'আজ নাসরুল্লা এবং অঞ্জুর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। উনি (অঞ্জু) ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পরে একেবারে নিয়ম মেনে নিকাহ হয়েছে।' নিকাহের সময় হাজির ছিলেন নাসরুল্লার পরিবারের সদস্য, আইনজীবী এবং পুলিশ কর্তারা। মালাকাণ্ড ডিভিশনের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল নাসির মেহমুদ সাট্টিও সেই নিকাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জিয়ো নিউজকে তিনি জানিয়েছেন যে নিকাহের পরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় অঞ্জুকে নাসিরুল্লার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তারইমধ্যে নাসরুল্লা এবং অঞ্জুর (ফতিমা) একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করা হয়েছে। যে ভিডিয়োয় লেখা হয়েছে, ‘অঞ্জু ওয়েডস নাসরুল্লা’ (Anju weds Nasrullah)। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে কোনও এক পাহাড়ি এলাকায় একে অপরের হাত ধরে ঘুরছেন নাসরুল্লা এবং অঞ্জু। যেমন প্রি-ওয়েডিং শ্যুট হয়ে থাকে, সেরকম ধাঁচেই ওই ভিডিয়ো করা হয়েছে। আর যেরকম সব শট আছে, তা দেখে মনে হচ্ছে যে ভিডিয়োর পিছনে যথেষ্ট খরচও করেছেন নাসরুল্লা এবং অঞ্জুরা। সম্ভবত ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে।
ওই প্রি-ওয়েডিং ধাঁচের ভিডিয়ো সামনে আসার আগে অঞ্জুর আরও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে অঞ্জুকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'আমি সবাইকে বলতে চাই যে আমি বৈধভাবে এখানে এসেছি। আমি এখানে মোটেও আচমকা চলে আসিনি। পুরো পরিকল্পনা করেই এখানে এসেছি। আমি এখানে সুরক্ষিত আছি। যেমনভাবে এসেছি, সেরকমভাবেই ফিরে যাব। দু'তিনদিনের মধ্যেই ওখানে ফিরে যাব। আমার আত্মীয় এবং সন্তানদের হেনস্থা না করার জন্য মিডিয়াকে অনুরোধ করছি। আমায় সবসময় ফোনে পাবেন।' উল্লেখ্য, পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়াঘ-আট্টারি সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছেন অঞ্জু।