সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চালু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু। ২০২১ সালের মার্চে এই সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মাসেই প্রকল্পের সব কাজ শেষ হবে। আগামী মাস থেকে চালু হচ্ছে ১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি।
আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এর ফলে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক আদান-প্রদান বৃদ্ধি পাবে। বাড়বে আমদামি রফতানিও। ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের যোগাযোগও সহজ হবে।
ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (এলপিএআই) চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র সংবাদিকদের বলেন, 'উদ্বোধনের প্রায় তিন বছর পর সেতুটি চালু হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে। প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামী মাসে এটি চালু করার জন্য আমরা সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'
বুধবার ত্রিপুরার সাব্রুম এলাকায় সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন এলপিএআই চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, সচিব বিবেক বর্মণ এবং অন্য আধিকারিকরা। আদিত্য মিশ্র বলেন, 'মৈত্রী সেতু চালু হলে দুদেশের মধ্যে পণ্য ও যাত্রী চলাচল আরও সহজ হবে। এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।' তিনি আরও বলেন, 'মৈত্রী সেতু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি এবং উত্তরপূর্ব ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগের নতুন পথের সূচনা করবে। আগামী দিনে সেতুটি কার্গো এবং ট্রান্সশিপমেন্ট ছাড়াও দুই দেশের যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা করবে।'
ফেণী নদীর উপর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলির সংযোগস্থলে অবস্থিত এই সেতু দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ করবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে ত্রিপুরার সাব্রুম। ফলে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ আরও সহজ হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেই বাংলাদেশ এবং আগরতলার মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেলপথের উদ্বোধন দুদেশের প্রধানমন্ত্রী। মৈত্র সেতু চালু স্থলপথে যোগযোগ আরও সুগম হবে।
আরও পড়তে পারেন
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় WHO-এর দায়িত্বভার নিলেন হাসিনা কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্বে হাসিনার কন্যা। এ যেন এক নতুন পালক যুক্ত হল বাংলাদেশের প্রশাসনিক ইতিহাসে। গত বছরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নির্বাচিত হন শেখ হাসিনার কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ব্যক্তি এই দায়িত্ব পালন করতে চলেছেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফ থেকে বিশেষ শুভেচ্ছা জানান হয়েছে সায়েমাকে। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর সামন্তলাল সেন।