কুলগামে তিন বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায় লস্কর-ই-তৈবা জড়িত আছে। একইসঙ্গে ঘটনায় স্থানীয় জঙ্গিদেরও মদত ছিল। শুক্রবার একথা জানালেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার।
গতরাতে বিজেপি কর্মীদের মৃত্যুর পর শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে যান জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি। তদন্তের স্বার্থে অন্যান্য জায়গায় যান। পাকিস্তানের মদতে সেই হামলা চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানান পুলিশের আইজি। পরে তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে এবং প্রযুক্তিগত প্রমাণ মূল্যায়ন করে মনে হচ্ছে, আলতাফ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার গাড়ি করে জঙ্গিরা এসেছিল। তিনজন (তিন বিজেপি কর্মী) যে গাড়িতে ছিলেন, সেটির পাশাপাশি যাচ্ছিল জঙ্গিরা। তারা নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে।’
তিনি জানান, হামলার পর গাড়ি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। জঙ্গিরা যে গাড়িতে ছিল, শুক্রবার সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য সেটি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি বলেন, ‘ঘটনায় লস্কর-ই-তৈবার সদস্য এবং খুদওয়ানির নিসার আহমেদ খান্ডে, আব্বাস শেখের মতো জঙ্গিদের নাম উঠে এসেছে।’
বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ ওয়াই কে পোরায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন কর্মীকে কাজিগন্ধ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতেরা হলেন - ফিদা হুসেন ইটু, ওমর রাজনান হাজাম এবং উমের রশিদ বেগ। ফিদা হচ্ছেন বিজেপি যুবমোর্চার সাধারণ সম্পাদক। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন ওমর।
তবে জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপি নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা এই প্রথম নয়। বরং গত জুন থেকে উপত্যকায় বিজেপি নেতাকর্মীদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। গত জুলাইয়ে বন্দিপোরায় এক বিজেপি নেতা ও তাঁর ভাইকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা রুখতে ১৫৭ জন বিজেপি কর্মীকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। যে নেতাকর্মীদের বিপদের সম্ভাবনা বেশি, উপযুক্ত প্রক্রিয়া মেনে তাঁদের বাড়তি সুরক্ষা দেওয়া হবে।