দিল্লির সাম্প্রদায়িক হিংসার সমালোচনা করার জন্য ইরানের মন্ত্রীর বিবৃতির বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানাতে সে দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করল বিদেশমন্ত্রক।
মঙ্গলবার ভারতে ইরানের রাষ্ট্রদূত আলি চেগেনিকে ডেকে পাঠাল বিদেশমন্ত্রক। সোমবার ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভাদ জারিফের টুইট যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ, তা সাফ জানিয়ে দেওয়া হল রাষ্ট্রদূতকে।
এ দিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘দিল্লির সাম্প্রতিক ঘটনায় ইরানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য পক্ষপাতদুষ্ট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বৈষম্যমূলক। ইরানের মতো দেশ থেকে এই ধরনের বিবৃতি আমরা আশা করি না। এ দিন সেই বার্তাই ইরানের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়ে তীব্র নিন্দা করা হয়।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে ৪০ জনের মৃত্যু হয় এবং কয়েকশো লোক আহত হন। সেই সঙ্গে ব্যাপক হারে সম্পত্তির ক্ষতিসাধনও হয়েছে ওই ঘটনায়।
ঘটনার জেরে ইরানের বিদেশমন্ত্রী টুইট করেন, ‘ভারতীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হিংসার তীব্র নিন্দা করছে ইরান। গত কয়েকশো বছর ধরে ভারতের বন্ধু ইরান। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আবেদন, সমস্ত দেশবাসীর ভালো থাকা নিশ্চিত করুন এবং সংবেদনহীর লুঠতরাজের অবসান ঘটান। আইন ও শান্তিপূর্ণ আলোচনাই ভবিষ্যত্ পদক্ষেপ নির্দিষ্ট করবে।‘
ইরানের উপরে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার জেরে সে দেশ থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আনা বন্ধ করার পর থেকেই দিল্লির সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে ইরানের। যদিও এ সত্ত্বেও তাত্পর্যপূর্ণ চাবাহার বন্দরের উন্নতি ঘটাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে চলেছে দুই দেশ।
প্রসঙ্গত, দিল্লির সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে দ্বিতীয় মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সমালোচনায় মুখর হয়েছে ইরান। এর আগে ঘটনার নিন্দা করে ইন্দোনেশিয়া। গত সপ্তাহে এর জেরে ইন্দোনেশিয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক।