ভারত মহাসাগরের ২০০০ কিলোমিটারের আশপাশে আপাতত ঘোরাফেরা করছে চিনা গুপ্তচর জাহাজ ইউয়ান ওয়াং। প্রশ্ন উঠছে, এই জাহাজের গতিবিধি নিয়ে। চিনের নৌ গবেষণা, স্যাটেলাইট ব্যালাস্টিক মিসাইল সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহকারী এই জাহাজ, শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে সদ্য নোঙর করেছিল। জল্পনা এটাই যে ভারত মহাসাগরের বুকে সম্ভবত নতুন কোনও পথের খোঁজ করছে চিনের এই জাহাজ।
আফ্রিকার পূর্ব প্রান্তের মালাক্কা, সুন্দাক, লোম্বোক প্রণালী পার করে এই জাহাজের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ১১০০০ টন ওজনের এই জাহাজ ক্রমাগত ভারত মহাসাগরের বুক চিড়ে ভিতরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এই জাহাজের গতিবিধি ঘিরে ইতিমধ্যেই ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত দানা বেঁধেছে। ভারতের তরফে এই জাহাজের শ্রীলঙ্কার বন্দরে নোঙর করা নিয়েও ব্যাপক আপত্তি তোলা হয়। প্রশ্ন তোলা হয় এই জাহাজের উদ্দেশ্য ঘিরে। কারণ শ্রীলঙ্কার যে বন্দরে এই জাহাজ নোঙর করতে চেয়েছিল তার খুবই কাছে ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে প্রতিরক্ষার বহু এলাকা রয়েছে। এদিকে, শ্রীলঙ্কা ওই বন্দরে এই জাহাজকে ঢুকে দিতে বাধ্য হয় কারণ ৯৯ বছরের জন্য ওই বন্দর চিনকে তারা ভাড়া দিয়েছিল। শব্দদূষণের বিধি ভেঙে 'অ্যালেক্সা'র ঘাড়ে দোষ চাপানো যাবে না! জানিয়ে দিল কোর্ট
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সম্ভবত চিন আফ্রিকার পূর্ব প্রান্তের কোনও এক দিকের সমুদ্র পথের তল্লাশি করে যাচ্ছে। এই নতুন রাস্তার আবিষ্কারের ফলে, দক্ষিণ চিন সাগর থেকে পারস্য উপসাগরের দিকে যেতে সুবিধাজনক যে কম দূরত্বের পথ রয়েছে তাকে ছেড়ে অন্যপথ দিয়ে যেতে হবে। যদি জলপথে নতুন এই রাস্তা আবিষ্কারে চিন সফল হয়, তাহলে তারা পূর্ব আফ্রিার পথে বিনা বাধায় এগিয়ে যেতে পারবে। ফলে কেনিয়া, তানজেনিয়া মোজাম্বিকে চিন তার একছত্র ক্ষমতা দেখাতে পারবে। অচিরেই পৌঁছে যাবে পূর্ব আফ্রিকার এই সব দেশে।