করোনাভাইরাসের টিকার জেরে কি কমবয়স্কদের হার্ট-অ্যাটাক হচ্ছে? দুটি বিষয়ের মধ্যে কি কোনও যোগসূত্র আছে? বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করতে চলেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণা ক্ষেত্রে ভারতের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব বহেল জানিয়েছেন যে গবেষকরা প্রাথমিকভাবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। যা শীঘ্রই জনসমক্ষে আনা হবে। আপাতত যে বিষয়গুলি জানা গিয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রে 'পিয়ার রিভিউ' (জনসমক্ষে প্রকাশের আগে যাচাই-পর্ব) প্রক্রিয়ার অপেক্ষা করা হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই ওই গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল।
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, কমবয়স্কদের যে আচমকা মৃত্যু হচ্ছে, সেটার পিছনে কী কী কারণ আছে, স্বাভাবিক কারণেই মৃত্যু হচ্ছিল নাকি অন্য কোনও বিষয়ের সঙ্গে যোগসূত্র আছে, তা নিয়েই মোট চারটি গবেষণা চালানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন, তাঁর উপর এক বছর পর্যবেক্ষণ চালিয়েছে আইসিএমআর। যে তথ্য ৪০টি হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Heart disease: বয়স বাড়লেও চাঙ্গা থাকবে হার্ট, কমবে ব্লকেজের ঝুঁকি, জেনে নিন কীভাবে
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম গবেষণার মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে যে করোনাভাইরাস টিকার সঙ্গে কোনওভাবে আচমকা কমবয়স্কদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনও যোগসূত্র আছে কিনা। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকে মৃত কমবয়সিদের অটোপসি করা হচ্ছে নয়াদিল্লির এইমসে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হবে। আবার দ্বিতীয় ক্ষেত্রে গবেষণার ক্ষেত্রটা আরও কিছুটা বেশি রয়েছে। আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন যে টিকাকরণ, দীর্ঘকালীন কোভিড এবং রোগীদের অবস্থা কতটা গুরুতর ছিল, সেই বিষয়গুলির সঙ্গে হার্ট-অ্যাটাকের যোগসূত্র আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইসিএমআর জানিয়েছে যে করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠার পর ১৪,০০০ জনের মধ্যে ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের অনেকেরই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের বয়স হয়ে গিয়েছিল। তাঁদের কো-মর্বিডিটি (বিভিন্ন রোগ) ছিল। সেই পরিস্থিতিতে কো-মর্বিডিটি ছাড়াও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে নজর দিচ্ছে আইসিএমআর। হাসপাতালে ভরতি হওয়ার আগে করোনা টিকা নেওয়া কোনও ব্যক্তির যদি মৃত্যু হয়, তাহলে তাঁর অসুস্থতা কতটা গুরুতর ছিল, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দীর্ঘকালীন কোভিডের উপসর্গ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।