শুক্রবারই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তানের উত্তরপূর্বে অবস্থিত কুন্দুজ শহর। এক শিয়া মসজিদে সেই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১০০ জন। সেই হামলার দায় স্বীকার করল ইসলামিক স্টেট খোরাসান। আফগানিস্তানের মাটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর এটাই সবথেকে বড় হামলা। এর আগে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চলাকালীন কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে হামলা চালিয়ে প্রায় ২০০ জনকে হত্যা করেছিল খোরাসান জঙ্গিরা।
এদিকে এই পরিস্থিতে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছে আমেরিকা ও তালিবান। কাতারের রাজধানী দোহাতে এই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরে এটি তালিবান-আমেরিকার প্রথম বৈঠক। তবে এই বৈঠকে বসা মানেই যে তালিবানকে স্বীকৃতি দেওয়া নয়, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ওয়াশিংটনের তরফে। এক বিবৃতিতে বাইডেন প্রশাসনের তরফে বলে দেওয়া হয়, 'আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে তালিবানদের নিজস্ব কাজের মাধ্যমেই কোনও বৈধতা অর্জন করতে পারবে।'
এদিকে তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকেই সেদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা হামলার শিকার হয়েছে। কখনও তালিবান, কখনও বা তাদের থেকে কট্টরপন্থী সংগঠন আইএস-এর নৃশংসতার শিকার হয়েছেন হাজারা, শিয়া, তাজিকরা। সেই ক্রমাগত হামলা ও নির্যাতনের রেশ টেনেই গতকাল ফের আক্রান্ত হয় সেদেশের শিয়া সম্প্রদায়। তালিবান ও আইএস-এর মতবাদ কট্টরপন্থা হলেও দুই সংগঠন পরস্পর বিরোধী। আইএস তুলনামূলক ভাবে তালিবানের থেকেও বেশি কট্টরপন্থী।
এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে অশান্তি ছড়াচ্ছে তারা। যা নিয়ে চিন্তিত ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানের মতো আফগান প্রতিবেশী দেশগুলি। এই পরিস্থিতিতে তালিবান-আমেরিকা বৈঠক বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ এর আগে আইএস-খোরাসানকে ঠেকাতে তালিবানের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদান করার ইঙ্গিত দিয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।