ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ জার্মানি গেলেন। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতেই তার এই সফর। লাপিদ তার সঙ্গে হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা একজনকে নিয়ে গিয়েছেন। রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জার্মানিতে যান। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির নবীকরণ যাতে না হয়, সেজন্য তিনি পশ্চিমা দেশগুলি সফর করছেন। সেই সূত্রেই তার জার্মানি সফর।
গত শনিবারই জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য পরমাণু চুক্তির নবীকরণ নিয়ে ইরানের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জার্মানিতে যাওয়ার আগে ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিন দেশ কঠোর অবস্থান নেওয়ায় তিনি খুশি।
পরমাণু চুক্তি
ইসরায়েল এই পরমাণু চুক্তির বিরোধী। তারা মনে করছে, এই চুক্তি দিয়ে ইরানের পরমাণু বোমা বানানো বন্ধ করা যাবে না। ২০১৫ সালের এই চুক্তিতে বলা হয়েছে, ইরান পরমাণু বোমা না বানালে, তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারা চান ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা যেন না ওঠে। তার মতে, এখনও সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। রাস্তা লম্বা। কিন্তু কিছু উৎসাহব্যাঞ্জক চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। এই মাসের গোড়ায় ইইউ-র প্রস্তাব নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। অ্যামেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট ব্লিংকেন বলেছেন, ইরান যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তা এক পা পিছিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছু নয়।
হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তার সঙ্গে হলোকাস্টথেকে বেঁচে ফেরা একজনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আমরা বিমান থেকে জার্মানির মাটিতে পা দেওয়ার পর জার্মান সেনার তরফ থেকে আমাদের গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।' বার্লিনে হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা মানুষটি চ্যান্সেলর শলৎস ও লাপিদের সঙ্গে একটি জায়গায় থাকবেন।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)