আইটি সেক্টরে অনেকেই বড় বড় স্বপ্ন দেখেন। দীর্ঘদিন চাকরি করার পর অনেকেই নিজের একটি সংস্থা তৈরির পরিকল্পনা করে থাকেন। তবে সেই স্বপ্ন ভাঙলে আঘাতটাও খুব জোরে লাগে। কতকটা তেমনই হয়েছিল হায়দরাবাদ নিবাসী কাশী বিশ্বনাথের সঙ্গে। ৩৮ বছর বয়সি এই ব্যক্তি নিজের সংস্থা তৈরির স্বপ্ন দেখে ৬ মাস আগে গিয়েছিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে তাঁর স্টার্টআপ সংস্থা সঠিক পথে এগোতে পারেনি। আশাহত হয়ে শেষ পর্যন্ত ফের দেশে ফিরে আসেন। এই সবের মাঝেই গত মঙ্গলবার তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেল। (আরও পড়ুন: 'কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ রাজ্যে...', বড় মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর)
আরও পড়ুন: গুলি-মিসাইল তৈরির কারখানায় ৩০০০ কোটি বিনিয়োগ আদানির, মেটাবে দেশের ২৫% চাহিদা
রিপোর্ট অনুযায়ী, হায়দরাবাদের সঙ্গারেড্ডি অঞ্চলের আমিনপুর এলাকায় থাকতেন বিশ্বনাথ। একটি সফটওয়্যার সংস্থার সিইও ছিলেন তিনি। আমিনপুরের দুর্গা হোমস ফেজ ২-র বাসিন্দা ছিলেন বিশ্বনাথ। সিইও-র মৃত্যুর তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আমেরিকায় গিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ না করতে পারায় অবসাদে ভুগছিলেন বিশ্বনাথ। এর থেকেই এই চরম পদক্ষেপ করে থাকতে পারেন তিনি। বিশ্বনাথের স্ত্রী বিনীলা জানিয়েছেন, বহুবছর আগে সাইবারাবাদের মাধাপুরাতেই একটি সফটওয়্যার সংস্থা খুলেছিলেন বিশ্বনাথ। তাঁর বন্ধুরাও সেই সংস্থার খোলার নেপথ্যে ছিলেন বলে জানান বিশ্বনাথের স্ত্রী। সেই সংস্থার নাম ছিল ইক্ল্যাট প্রাইম। (আরও পড়ুন: চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পদক্ষেপ ভারতের, খিদের জ্বালায় পুড়তে পারে বাকিদের পেট)
আরও পড়ুন: ঘুরে দাঁড়াতে বাজার থেকে ৪৫ হাজার কোটি তুলবে ভোডাফোন-আইডিয়া, সবুজ সংকেত বোর্ডের
বিশ্বনাথের স্ত্রী বলেন, 'আমেরিকায় নিজের একটি সংস্থা স্থাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন বিশ্বনাথ। তবে সেই পথে বিভিন্ন বাধার মুখোমুখি হন তিনি। শেষ পর্যন্ত নিজের পরিকল্পনা ত্যাগ করে দেশে ফিরে আসতে হয় তাঁকে। এর জেরে খুব দুঃখ পেয়েথিলেন তিনি।' জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ নিজের ফ্ল্যাটেই অফিস ঘরে যান বিশ্বনাথ। এরপর দরজা বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ পরে পরিবারের সদস্যরা বিশ্বনাথকে ডাকেন। তবে ঘরের ভিতর থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তখন তাঁদের সন্দেহ হয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকা হলে বিশ্বনাথের মৃতদেহ দেখা যায়। পরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। বিশ্বনাথের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসবাদ করে পুলিশ।