বারাণসীতে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা আমারও পরীক্ষা। কেন তিনি একথা বললেন?
রবিবার তিনি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। দুদিনের বারাণসী সফরে এসেছেন তিনি। এই যাত্রার মূল লক্ষ্য হল যে সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সেটা আদৌ পূরণ হচ্ছে কি না। আর সেই স্কিম কতটা সাফল্য়ের সঙ্গে পূরণ হচ্ছে সেটাও দেখা হয় এই যাত্রার মাধ্য়মে।
কংগ্রেসের গরিবি হঠাও স্লোগানের তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। এখন গরিব মানুষরা নিজেদের শক্তিশালী বলে মনে করেন। তাদের এখন পাকা বাড়ি। তাদের বাড়িতে এখন গ্যাস সিলিন্ডার। বললেন মোদী।
তিনি বলেন, বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা আমারও পরীক্ষা।
মোদী বলেন, এটা আমারও পরীক্ষা। আমি যেখানে যা বলেছিলাম যা আমি করেছি, আমি সেটা আপনাদের কাছ থেকে শুনতে চাই। এটা ঠিকঠাক হয়েছে কি না সেটা জানতে চাই। যে কাজ করার কথা বলা হয়েছিল সেটা করা হয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।
আসলে এটাই পরীক্ষা। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মোদী এদিন স্টলগুলিও পরিদর্শন করেন। বিকশিত ভারত যাত্রা ভ্যান ও কুইজ প্রদর্শনীও তিনি ঘুরে দেখেন। বিভিন্ন সরকারি স্কিমের উপভোক্তাদের সঙ্গেও তিনি কথাবার্তা বলেন। এই কর্মসূচির সময় বিকশিত ভারত সংকল্প শপথবাক্যও পাঠ করা হয়।
তিনি এদিন বলেন, সাংসদরাও যেন তাঁদের নির্দিষ্ট সংসদ এলাকায় এই যাত্রায় অংশ নেন। তিনি জানিয়েছেন, একজন সাংসদ হিসাবে তিনি এই যাত্রায় অংশ নিয়েছেন। এই শহরের সেবক হিসাবে তিনি অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, জনতা যেন সরকারের কাছে ছুটে না আসেন। জনতার কাছে যেতে হবে সরকারকে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সরকার আসে আর যায়। লম্বা চওড়া প্রতিশ্রুতি দেয়। গরিবি হঠাও বলে স্লোগান দেওয়া হয়। তিনি বলেন, গরিবি হঠাও স্লোগানটা এক জিনিস। কিন্তু একজন গরিব মানুষ বর্তমানে তাঁর বাড়িতে গ্য়াস সিলিন্ডার রাখতে পারেন। আজ গরিব আর ধনীর মধ্যে ফারাকটা দূর হয়ে গিয়েছে। তিনি পাকা বাড়িতে বাস করেন। তাদের বাচ্চারাও আজ বন্ধুদের সঙ্গে একই সঙ্গে উঠে দাঁড়ান।
একটা সময় ওই বাচ্চারা ঝুপড়ি ঘরে থাকত, তাদের মধ্য়ে আস্থা কমে আসত। তবে এখন তারাই থাকেন পাকা বাড়িতে। তাদের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। ৪০ কোটি পরিবার পাকা বাড়িতে থাকছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অন্তর্গত স্কিমের আওতায়।