ফ্রিল্যান্সার বা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন? কোনও নির্দিষ্ট পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন? বার্ষিক আয় ৫০ লাখ টাকার বেশি নয়? তাহলে আয়কর রিটার্ন দাখিলের একেবার শেষলগ্নে আপনার জন্য সুখবর আছে। আয়কর আইনের আওতাধীন একটি স্কিম বেছে নিলে আপনার যা আয়, সেটার অর্ধেক টাকার উপর কর দিতে হবে। অর্থাৎ আপনার যদি আয় ৪৮ লাখ টাকা হয়, তাহলে ২৪ লাখ টাকার উপর আপনাকে কর দিতে হবে।
আয়কর আইন অনযায়ী, যে করদাতারা কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত বা কোনও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাঁদের নিয়মিত হিসাবের খাতা বজায় রাখতে হয়। কিন্তু সেই কাজটা মোটেও সহজ নয়। সেই কাজের ভার লাঘব করার জন্য সেই বিশেষ স্কিম চালু করেছে সরকার। ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ৪৪এডি ধারা এবং ৪৪এডিএ ধারার মধ্যে সেই স্কিম আছে। যদিও চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট অমিত প্যাটেলের মতে, ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ৪৪এডি ধারা এবং ৪৪এডিএ ধারা নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশা আছে। অনেকেই সেই বিষয়টি ঠিকভাবে বুঝতে পারেন না বলে দাবি করেছেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট।
আরও পড়ুন: ITR Filing Deductions: IT রিটার্ন দাখিলের সময় এই ৬টি 'অস্ত্র' কাজে লাগান, এক টাকাও আয়কর দিতে হবে না
বিষয়টি নিয়ে ট্যাক্স টু উইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অভিষেক সোনি বলেন, ‘আয়কর আইনের ৪৪এডি আইনের নিরিখে একটি অর্থবর্ষে যে ক্ষুদ্র করদাতাদের টার্নওভার বা মোট দুই কোটি টাকার বেশি, তাঁরা প্রিজামটিভ ট্যাক্সেশন স্কিমের আওতায় আসতে পারবেন। সেই স্কিমের আওতায় এরকম করদাতাদের নিয়মিত অ্যাকাউন্টের হিসাব রাখতে হবে না। পরিবর্তে তাঁদের মুনাফার অঙ্কটা মোট টার্নওভারের আট শতাংশ বলে ধরে নেওয়া হবে।’
সেইসঙ্গে ওই আইনে একটি বিশেষ নিয়মও আছে। ট্যাক্স টু উইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অভিষেক জানিয়েছেন, ডিজিটাল মাধ্যম বা ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা টাকা পান, তাহলে সেই আট শতাংশের অঙ্কটা কমে দাঁড়ায় ছয় শতাংশ। অর্থাৎ নগদের ব্যবহার কমিয়ে ডিজিটাল লেনদেন আরও বাড়ানোর জন্য সেই নিয়ম চালু করা হয় বলে জানিয়েছেন ট্যাক্স টু উইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও।
আয়কর আইনের ৪৪এডিএ ধারা
ওই ধারা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে কয়েকটি নির্দিষ্ট পেশার করদাতাদের বার্ষিক আয় যদি ৫০ লাখ টাকার বেশি না হয়, তাহলে তাঁরা সুবিধা পাবেন। সেই পেশার মধ্যে আছে - আইন, স্বাস্থ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং বা স্থাপত্য, অ্যাকাউন্টেন্সি, টেকনিকাল কনসালটেন্সি, ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন। সেইসঙ্গে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ভারত ট্যাক্সসের (সিবিডিটি) জারি করা যে কোনও পেশার করদাতারা সেই সুবিধা পাবেন।