শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মহিলা সংরক্ষণ আইনের একাংশকে বাতিল বা প্রযোজ্য হবে না বলে ঘোষণা করাটা খুব কঠিন। জনগণনার পরে এটা প্রযোজ্য হতে পারে। কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর আবেদন করে জানিয়েছিলেন, অবিলম্বে এই আইনকে প্রয়োগ করা হোক। তবে এনিয়ে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ এনিয়ে নোটিশ ইস্যু করার বিষয়টি প্রত্যাখান করেছে।
আদালতে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, একটা ভালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। এদিকে জয়া ঠাকুরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বিকাশ সিং। তিনি জানান এটা ধরে নেওয়া হচ্ছে যে পিছিয়ে পড়াদের সংরক্ষণের জন্য একটা জনগণনা করা খুব দরকার। কারণ সার্বিকভাবে তথ্য় দরকার। কিন্তু মহিলা সংরক্ষণের জন্য জনগণনার কী দরকার সেটাই তো বুঝতে পারছি না। তিনি জানিয়েছেন, এই আইনের একাংশ যেখানে বলা হচ্ছে যে এটা সেনসাসের পরে প্রয়োগ করা হবে, এই অংশটা বাতিল করা খুব দরকার। এনিয়ে তিনি আবেদন করেন।
তবে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, আদালতের পক্ষে এটা করা খুব দরকার। আমরা আপনার যুক্তিটা বুঝতে পারছি। আপনি বলতে চাইছেন যে সেনসাসের কী প্রয়োজন রয়েছে। মহিলা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে জনগণনার কী প্রয়োজন রয়েছে? কিন্তু এনিয়ে নানা ইস্যু রয়েছে। প্রথমেই আসন সংরক্ষণ করতে হবে। এরপর বাকি বিষয়গুলি হবে।
এদিকে এই বিল পাস হওয়ার সময় কার্যত সর্বসম্মতিক্রমে সাংসদরা সপক্ষে মতামত দিয়েছিলেন। মাত্র দুজন এমপি এই বিলের বিপক্ষে ছিলেন। বাকি সবাই এই বিলের পক্ষে ছিলেন। রাজ্যসভার প্রতি এমপি এই বিলের পক্ষে ছিলেন। এবার রাজ্য বিধানসভাতে এই বিলের পক্ষে মতামত দরকার। তবে এই বিল গোটা দেশ জুড়ে প্রয়োগ করার আগে জনগণনা করা দরকার। কারণ জনগণনার পরেই খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। নারী পুরুষের অনুপাতটাও বোঝা যাবে।
কার্যত ঐতিহাসিক এই বিল। এই বিলের মাধ্য়মে লোকসভা ও বিধানসভাগুলিতে নারীদের অধিকার সুরক্ষিত হবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এই বিলে তাঁর সম্মতি জানিয়েছেন।