পাঁচ বছর ধরে একসঙ্গে পথ চলা। তবে এবার থামল সেই যাত্রা। Paytm ই-কমার্স প্রাইভেট লিমিটেডের হাত ছাড়ল জ্যাক মা-র আলিবাবা এবং অ্যান্ট ফিনান্সিয়ালস। ভারতের ই-কমার্স বাজারে এটাই বৃহত্তম বিনিয়োগ ছিল সংস্থার। পেটিএম মলের জন্য টাকা ঢেলেছিল আলিবাবা।
Paytm ই-কমার্স আলিবাবা (২৮.৩৪%) এবং অ্যান্টফিন (নেদারল্যান্ডস) হোল্ডিং (১৪.৯৮%), মোট ৪৩.৩২%, শেয়ার কিনে নিয়েছে। বিনিময়ে ৪২ কোটি টাকা দিয়েছে। কোম্পানির ফাইলিংয়ে এর উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু তাহলে ভ্যালুয়েশনের কী হল!
হয় তো ভাবছেন, পেটিএম-এর মতো সংস্থার ৪০%-এরও বেশি মাত্র ৪২ কোটি টাকায়? সত্যিই তাই। এর ফলে কোম্পানির ভ্যালুয়েশন দাঁড়ায় মাত্র ১০০ কোটি টাকা। এদিকে কাগজে-কলমে পেটিএম-এর ভ্যালুয়েশন ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিজয় শেখর শর্মার সংস্থা শেষবার ২০২০ সালে ফান্ড রেইজ করেছিল। সেই সময়ে এমনই দাম দাঁড়িয়েছিল সংস্থার।
পেটিএম মল, চিনে আলিবাবার টি-মল থেকে অনুপ্রাণিত। ২০১৭ সালে আলিবাবার থেকে প্রথম ফান্ড রেইজ করে পেটিএম। প্রথমেই ২০০ মিলিয়ন ডলার রেইজ করে। এছাড়াও অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল, সফ্টব্যাঙ্ক, এলিভেশন ক্যাপিটাল থেকে ৮০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সংগ্রহ করে। ফলে শুরুতেই ১ বিলিয়ন ডলারের অবিশ্বাস্য মূলধন নিয়ে মাঠে নামে সংস্থা।
Paytm ই-কমার্স সংস্থার ইক্যুইটি শেয়ার মূলধন এবং সিকিউরিটিজ প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্ট হ্রাস করার প্রস্তাব করেছে। তারা জানিয়েছে, আগামী ২৩ মে একটি সাধারণ সভা হবে।
ব্যবসা বৃদ্ধি এবং বাজার দখলে বিপুল পুঁজি বিনিয়োগ করা সত্ত্বেও, টানা লোকসান হয়েছে পেটিএম-এর। তাছাড়া ভারতের বাজারে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটা হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দীও এসে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পেটিএম-এ আর অংশীদার থাকতে চায়নি জ্যাক মা-র সংস্থাগুলি। সেই কারণেই এভাবে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যাওয়া।
'পেটিএম মূলধন হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলধন হ্রাস সম্পূর্ণ হওয়ার পরে, কোম্পানির মূলধন এবং শেয়ারহোল্ডারদের সঠিক ভারসাম্য থাকবে। একটি নতুন পথে পুনরুজ্জীবন এবং বৃদ্ধির পথ তৈরি হবে,' জানিয়েছে সংস্থা।