তৃণমূল কংগ্রেসের বহিষ্কৃত সাংসদ তথা কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই। ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন এই মামলায় তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা বৃহস্পতিবার শেষপর্যন্ত প্রত্যাহার করে নিলেন আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে ২ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিলেন দেহদ্রাই।
এদিকে মহুয়া মৈত্র সাংসদ থাকাকালীন ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন এই জয় অনন্তই। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই কৃষ্ণনগরের তৎকালীন সাংসদের সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করে লোকসভার এথিক্স কমিটি। শীতকালীন অধিবেশনে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ হয় লোকসভায়। আর মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে মামলার শুনানি ছিল। সেখানে দেহদ্রাইয়ের আইনজীবী রাঘব অবস্থি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। শর্ত দিয়ে বলা হয়, মানহানির মামলা প্রত্যাহার করা হলে দেহদ্রাইয়ের বিরুদ্ধে মহুয়া মৈত্র যেন কোনও বিবৃতি না দেন।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে ১২ লাখ টাকা দিয়ে চাকরি পান শিক্ষক, দিব্যেন্দুর সঙ্গে ফোনে কথার অডিয়ো ফাঁস
অন্যদিকে সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার কিছুদিন আগেই প্রাক্তন বন্ধুকে এক্স হ্যান্ডেলে ব্লক করে দেন মহুয়া মৈত্র। তারপর মার্চ মাসে প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মানহানির মামলা করেন জয় অনন্ত। মামলাকারীর দাবি ছিল, সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ড নিয়ে বিবৃতিতে তাঁর বিরুদ্ধে অত্যন্ত অপমানজনক ও মানহানিকর মন্তব্য করেছেন মহুয়া। তাই শুরু হয় মামলা। কিন্তু এই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিচারপতি প্রতীক জালান এই মামলাকে ডিসমিস করে দেন। মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী সমুদ্র সারাঙ্গি আদালতকে জানান জয় অনন্তও যেন কোনও মন্তব্য এই নিয়ে না করেন।
এছাড়া প্রশ্ন ঘুষ কাণ্ডে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদকে বহিষ্কার করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। মহুয়ার বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তখন এই নিয়ে মহুয়া কাঠগড়ায় তুলেছিলেন জয় অনন্তকে। এখন এই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় মহুয়ার পালেই হাওয়া লাগল বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কৃষ্ণনগরের জনসভায় বলেছিলেন, ‘মহুয়াকে ওরা সংসদ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। কেন জানেন? কারণ ও সংসদে বিজেপির বিরুদ্ধে জোর গলায় কথা বলত। তাই ওকে এবার জেতাতে হবে। মহুয়া ওদের যোগ্য জবাব দেবে। আবার সংসদে পাঠাতে হবে যাতে ও ওদের মুখোশ খুলে দেয়।’