তোলাবাজি, অপহরণ সহ একাধিক মামলায় জেলে রয়েছেন কংগ্রেসের এক নেতা। শারীরিক সমস্যার কারণে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই কংগ্রেস নেতাকে। কিন্তু, ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ফেরার সময় ওই জেলবন্দি যা করলেন তাতে হতবাক সকলেই। একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উল্লাসিত হয়ে নাচতে দেখা গেল ওই কংগ্রেস নেতাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি পাঞ্জাবের লুধিয়ানার। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই দুই পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায়।
আরও পড়ুন: বন্দিদের খাবারের গুণগত মান ঠিক রাখতে দৈনিক বরাদ্দ বাড়াতে চলেছে লালবাজার
জানা গিয়েছে, ওই পাঞ্জাবের ওই যুব কংগ্রেসের নেতার নাম সাভোত্তম সিং ওরফে লাকি সান্ধু। বেশ কয়েকবছর ধরেই তিনি জেলে রয়েছেন। প্রস্রাবের সমস্যার কারণে ওই কংগ্রেস নেতাকে গত ৮ ডিসেম্বর চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (পিজিআইএমইআর) নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অপহরণের মামলায় সান্ধুকে লুধিয়ানা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছিল। কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে দাঙ্গা, অপহরণ, হামলা এবং চাঁদাবাজি সহ আরও কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। সেখান থেকে ফেরার পথে রায়কোটে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সান্ধু। এরপর সেখানে অন্যান্যদের সঙ্গে নাচতে শুরু করেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল তার সঙ্গে পুলিশের একটি দলও ছিল। লুধিয়ানা পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশের একটি দল তাকে চিকিৎসার জন্য পিজিআইএমইআর-এ গিয়েছিল। তবে জেলের কোনও কর্মী তার সঙ্গে ছিল না।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে লাকি সান্ধুকে বিয়েতে অন্যান্য অতিথিদের সাথে নাচতে দেখা গিয়েছে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ নাচার পর আবার তিনি পুলিশের সঙ্গে জেলে ফিরে যান। জেল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরে লুধিয়ানা পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে সান্ধুর সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। এরপরেই পুলিশ দুজন কর্মীকে বরখাস্ত করে। লুধিয়ানার পুলিশ কমিশনার কুলদীপ চাহাল বলেছেন, সাব-ইন্সপেক্টর মঙ্গল সিং এবং সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর কুলদীপ সিংকে কর্তব্যে গাফিলতির জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার।