এক মিনিট দেরিতে এসেছিল ট্রেন। আর সেই কারণে ট্রেন চালকের বেতন থেকে জরিমানা হিসেবে ৫৬ ইয়েন (৩৬ টাকা) কাটে রেল কোম্পানি। কিন্তু তাঁর কোনও ত্রুটি ছিল না বলে দাবি ট্রেন চালকের। আর তাই, পাল্টা রেল কোম্পানির বিরুদ্ধেই ২২ মিলিয়ন ইয়েন (১৪ লক্ষ টাকা)-এর মামলা করলেন ওই জাপানি ট্রেন চালক।
গত বছর জুনে ট্রেন কোম্পানি জেআর ওয়েস্ট ট্রেন লেটের জন্য তাদের এক চালককে প্রথামাফিক জরিমানা করেছিল। ওই চালক জানান, তাঁর কোনও দোষই ছিল না। শুধু শুধু তাঁকে জরিমানা করা হয়। পুরো অভিজ্ঞতাটি তাঁর জন্য মানসিকভাবে চাপের ছিল। সেই জন্যই তিনি ২২ মিলিয়ন ইয়েন ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
কীভাবে দেরি হয়েছিল?
জাপানি সংবাদ ওয়েবসাইট Sorannews24-এর রিপোর্ট বলছে, দক্ষিণ জাপানের ওকায়ামা স্টেশন থেকে একটি খালি ট্রেন নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনে ওঠার সময়ে তিনি ভুল প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে যান। তারপরে সঠিক প্ল্যাটফর্মে ফের ছুটে আসেন। আর তার ফলে আগের চালককে ছাড়তে ও তাঁর সিটে বসতে প্রায় ২ মিনিট দেরি করেন তিনি। ফলে ট্রেনটি ১ মিনিট দেরিতে ছাড়ে। কার শেডেও পৌঁছায় ১ মিনিট দেরিতে।
ট্রেন কোম্পানি জেআর ওয়েস্ট প্রথমে চালককে ৮৫ ইয়েন জরিমানা করে। কিন্তু ড্রাইভার ওকায়ামা লেবার স্ট্যান্ডার্ড পরিদর্শন অফিসে অভিযোগ করার পর, জরিমানা কমিয়ে ৫৬ ইয়েন করা হয়।
জরিমানা কাটার সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হননি চালক। তিনি বলেন, ট্রেন ছাড়তে দেরির ফলে সাধারণ ট্রেন চলাচলের উপর কোনও প্রভাব পড়েনি। ফাঁকা ট্রেন কারশেডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাই সংস্থার কোনও ক্ষতি বা নাম খারাপ হওয়ার কথাই নয়। অন্যদিকে রেল কোম্পানি বলছে, ট্রেনের দায়িত্ব নেওয়ার সঠিক সময়ে পৌঁছতে পারেননি চালক। তাই নীতিমালা মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাপানের ট্রেন সময়ানুবর্তিতার জন্য বিশ্ব বিখ্যাত। ২০১৭ সালে একটি ট্রেন সময়ের ২০ সেকেন্ড আগে পৌঁছেছিল। এই সামান্য কারণেই লিখিতভাবে গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল বেসরকারি রেল সংস্থা।
জাপানে ট্রেন ৫ মিনিট বা তার বেশি দেরি হলে সেদিন রেল একটি নোটিফিকেশন রিলিজ করে। নিত্যযাত্রীরা অফিসে দেরির জন্য সেই নোটিফিকেশন দেখান প্রমাণস্বরূপ।