২০২৩ সালের কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই অনেকটা বদলে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতির রঙ। মোদীর আগ্রাসী প্রচারেও কংগ্রেসের থেকে অনেক পিছিয়ে থেকে কর্ণাটকে গদিচ্যুত হয়েছে বিজেপি। এদিকে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত বিজেপি বিরোধিতায় সরব ছিলেন জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী। কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বিরোধী জোটের সলতেও পাকিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে কর্ণাটক বিধানসভ ভোটে ভরাডুবির পর এখন তিনি হাত মেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজেপির সঙ্গে। এই আবহে গত শুক্রবার কর্ণাটক বিধানসভায় বিস্ফোরক দাবি করলেন এইচডি কুমারস্বামী। তাঁর দাবি, ২০১৯ সালে নাকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল এবং মোদী তাঁকে পূর্ণ মেয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করে জোট করতে চেয়েছিলেন। তবে কুমারস্বামী দাবি করেন, ২০১৮ সালে গঠিত কংগ্রেস-জেডিএস জোটের প্রতি আনুগত্যর কারণে তখন মোদীর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিধানসভায় কুমারস্বামীকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছিলেন, 'বিজেপির বিরোধী দলনেতা আদতে কুমারস্বামী।' এর জবাবেই কুমারস্বামী বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেন, 'লোকসভা নির্বাচনের ১৫ দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাকে ফোন করেছিলেন। প্রায় এক ঘণ্টা কথা হয়েছিল আমাদের। তিনি আমাকে প্রস্তাব দেন যাতে আমরা বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ি। আগামী চার বছরের জন্যও আমাকেই মুখ্যমন্ত্রী রাখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন মোদী। তবে জেডিএস সেই সময় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে ছিল। তাই আমি মোদীর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলাম।'
এদিকে কংগ্রেস ক্রমাগত জেডিএস-কে 'বিজেপির বি টিম' বলে আক্রমণ শানিয়ে আসছে। এই আবহে কুমারস্বামী কংগ্রেসকে পালটা তোপ দেগে বলেন, 'আমাদের বিজেপির বি টিম বলে বলে আপনারাই আমাদের বিজেপির দিকে ঠেলেছেন। এই ধরনের ভিত্তিহীন কথাবার্তা বন্ধ হওয়া উচিত।'
এদিকে বিজেপি এখনও বিধানসভায় নিজেদের বিরোধী দলনেতার নাম ঘোষণা করেনি। এই আবহে সিদ্দারামাইয়া বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, দলটা রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। তিনি বিধানসভায় বলেন, 'আপনারা বলেন বিজেপি নাকি শৃঙ্খলাবদ্ধ পার্টি। তাও আপনারা একটা বিরোধী দলনেতা নিয়োগ করতে পারেন না। আমার মনে হয় আপনারা এইচডি কুমারস্বামীকেই বিরোধী দলনেতা বানিয়েছেন।' সিদ্দারামাইয়ার এই খোঁচার পরই মোদীর সঙ্গে তাঁর কথোপকথন নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী।