লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) ভাঙনে কি কলকাঠি নেড়েছেন নীতিশ কুমার? দিনকয়েক ধরে তেমনই জল্পনা ছড়িয়েছিল। যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সুপ্রিমো নীতিশ। সঙ্গে তাঁর দিল্লি-যাত্রার সঙ্গে এলজেপিতে ভাঙনের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন।
সম্প্রতি চিরাগ পাসোয়ানের বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহ' ঘোষণা করেছেন এলজেপির পাঁচজন সাংসদ। তাঁরা হলেন - প্রিন্স রাজ, চন্দন সিং, বীণা দেবী, মেহবুব আলি কাইজার এবং চিরাগের কাকা পশুপতি কুমার পরশ। চিরাগের ঘনিষ্ঠ মহলের তরফে দাবি করা হয়, গত বছর বিহার বিধানসভা ভোটে নীতিশের বিরুদ্ধে অল-আউট আক্রমণে গিয়েছিল এলজেপি। তার জেরে নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে। তারপরই এলজেপির মধ্যেই চিরাগকে একঘরে করে দেওয়ার সুতো পাকিয়েছে জেডিইউ। চিরাগ নিজেও সরাসরি অভিযোগ করেন, এলজেপির ফাটলে হাত আছে নীতিশের জেডিইউয়ের।
যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে নীতিশ বলেন, ‘ওই ঘটনায় (এলজেপিতে ফাটল) আমাদের কোনও হাত নেই। ওটা ওদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। প্রচারের জন্য উনি (চিরাগ) আমার বিরুদ্ধে কথা বলেন। ওই ঘটনায় আমরা মাথা ঘামাচ্ছি না।’
সেই সঙ্গে নীতিশের দিল্লি-সফর নিয়েও জল্পনা শুরু হয়। মঙ্গলবার বিশেষ বিমানে করে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। একটি মহল থেকে দাবি করা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভার রদবদলের আগে জেডিইউয়ের হয়ে দর কষাকষি করতেই দিল্লি যাচ্ছেন। যদিও জেডিইউ সূত্রে খবর, এবার তা হবে না। এবার চোখের সার্জারির জন্য দিল্লিতে গিয়েছেন নীতিশ। যা আগামী বৃহস্পতিবার হতে পারে। দিল্লিতে পৌঁছে নীতিশও জানান, ব্যক্তিগত কারণে রাজধানীতে উড়ে এসেছেন। তাঁর কথায়, ‘এটা ব্যক্তিগত সফর। চোখের চিকিৎসার জন্য এসেছি। (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের) কোনও পরিকল্পনা নেই। কখন এবং কীভাবে (মন্ত্রিসভায় রদবদল) হবে, তা নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর উপর। এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।’