Viral Speech of Hemant Soren on Money: 'টাকা ব্যাঙ্কে না রেখে মাটিতে পুঁতে রাখুন', আদিবাসীদের 'পরামর্শ' হেমন্ত সোরেনের

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে 'সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি' ঘেটেছে মোদী জমানাতেই। তিনি বলেন, 'দেশের অর্থনীতি ধসে পড়েছে। আমরা জানি না যে হঠাৎ করে কোন ব্যাঙ্ক ডুবে যাবে।'

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (HT_PRINT)

আদিবাসী অঞ্চলে গিয়ে সাধারণ জনগণের উদ্দেশে বিতর্কিত 'পরামর্শ' দিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। শুক্রবার রামগড় জেলায় এক জনসভা থেকে জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় হেমন্ত বলেন, 'ব্যাঙ্কে টাকা রাখবেন না। প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে টাকা মাটিতে পুঁতে রাখুন।' উল্লেখ্য, রামগড় বিধানসভা আসনটিতে শীঘ্রই উপনির্বাচন হতে চলেছে। সেখানে সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রার্থী হয়েছেন বজরং মাহতো। উপনির্বাচনের প্রচারের জন্যই রামগড়ে গিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন 'পরামর্শে' বিতর্ক দানা বেঁধেছে। (

জেএমএম প্রার্থী বজরং মাহতোর প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দাগেন সোরেন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে 'সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি' ঘেটেছে মোদী জমানাতেই। তিনি বলেন, 'দেশের অর্থনীতি ধসে পড়েছে। আমরা জানি না যে হঠাৎ করে কোন ব্যাঙ্ক ডুবে যাবে।' এই আবহে বিজেপির পালটা প্রশ্ন, এভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রী 'বিভ্রান্তি' কীভাবে ছড়াতে পারেন?

উল্লেখ্য, হেমন্ত সোরেন বলেন, 'প্রথম থেকেই আমি গ্রামাঞ্চলের কৃষক ও শ্রমিকদের বলে এসেছি যে আপনার টাকা ব্যাঙ্কে জমা রাখবেন না। কারণ ব্যাঙ্কগুলি ক্রমাগত লোকসানে চলেছে। প্লাস্টিকে টাকা ভরে মাটিতে পুঁতে দিন, কিন্তু ব্যাঙ্কে রাখবেন না। ব্যাঙ্কাররা কখন আপনার টাকা নিয়ে পালাবে তা জানতেও পারবেন না। আগেকার দিনেও মানুষরা এই একই কাজ করতেন (মাটিতে টাকা পুঁতে রাখতেন)। অন্তত তারা যে পরিমাণ টাকা রাখতেন, তা তাঁদেরই থাকত। আপনি যদি আজকে যতটুকু জমা করে রেখেছেন, ততটুকুই যদি পান তবে তাই যথেষ্ট হবে।'

এই আবহে বিজেপি নেতা তথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস বলেন, 'হেমন্ত সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের লুটপাট চলছে। বেআইনিভাবে বালি ও কয়লা উত্তোলন চলছে। স্পষ্টতই যখন কালো টাকা আসবে, তখন তা মাটির নীচে লুকিয়ে রাখতে হবে। তিনি দুর্নীতিবাজদের প্রধান। তাই এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। একজন মুখ্যমন্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্য অসাংবিধানিক।'