বিশাল কান্ত
ঝাড়খণ্ডের লোহারডগা এলাকায় ভয়াবহ ঘটনা। হাতির হানায় অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু। তার মধ্য়ে তিনজনই মহিলা।সোমবার একথা জানিয়েছেন বনদফতরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, কাশপুর গ্রামের কাছে তাণ্ডব চালায় হাতিটি। সোমবারের ঘটনা। অন্য়দিকে রবিবার সন্ধ্যায় আরও একজন ব্যক্তিকে পিষে দেয় হাতিটি। কুরু গ্রামের কাছে ঘটনা। লোহারডগা জেলার বনদফতরের আধিকারিক অরবিন্দ কুমার এনিয়ে জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, কাশপুরে সোমবার সকালে অন্তত তিনজন গ্রামবাসীকে হাতিটি মেরে ফেলেছে। একজন মদ্য়প অবস্থায় ছিলেন। তাকেও মেরে ফেলা হয়েছে।
বনদফতেরর আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই হাতিটি কুুরু এলাকায় রবিবার ঢুকে পড়েছিল।এরপর একজনকে পিষে মেরে ফেলে হাতিটি। এরপর সেটি ভান্ডার এলাকায় সেটি ঢুকে পড়ে। সেই সময় একজন হাতিটির দিকে এগিয়ে আসছিল। তার উপরেও হামলা চালায় হাতিটি। সোমবার একই গ্রামের একাধিক জনকে পিষে দেয় হাতিটি। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে হাতিটিকে যাতে জঙ্গলে ফেরৎ পাঠানো হয়।
বনদফতর জানিয়েছে, মৃতের পরিবারকে ২৫০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩.৭৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পরে দেওয়া হবে। সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পরেই তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
বনদফতরের আধিকারিক জানিয়েছেন, ভান্ডারা ও কুরু এলাকায় হাতির আনাগোনা লেগেই আছে। বনাধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বছর দুয়েক ধরে আমি এখানে পোস্টিং রয়েছি। কিন্তু এমন ঘটনা আগে হয়নি। লোহারডগা এলাকায় এর আগে এই ধরনের ঘটনা হয়েছিল। কিন্তু অনেকেই হাতির সঙ্গে কীভাবে দূরত্ব বজায় রাখতে হয় সেটা ঠিক জানেন না। একেবারে সামনে চলে গিয়েছিলেন বলে মনে হচ্ছিল। একজন মদ্যপ অবস্থায় একেবারে হাতির সামনে চলে এসেছিলেন। সেই সময় হাতির হানায় মৃত্য়ু হয় তার। সেকারণে বার বার সাধারণ মানুষকে বলা হচ্ছে পশুদের ডিসটার্ব করবেন না। আমরা হাতিটিকে তাড়িয়ে জঙ্গলে ফেরৎ পাঠানোর চেষ্টা করছি।
তবে এর আগেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাতির হানায় বাসিন্দাদের মৃত্যু নজির রয়েছে। কিছুক্ষেত্রে জঙ্গলে খাবারের অভাব থাকার জেরে হাতির পাল লোকালয়ে বেরিয়ে পড়ে। কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের আরামবাগ এলাকাতেও তাণ্ডব চালিয়েছিল হাতি। এছাড়া উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকাতেও হাতির হানায় মৃত্যুর নজির রয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup