বিহারের আরারিয়া জেলায় বাড়ির ভিতর ঢুকে সাংবাদিক বিমল যাদবকে গুলি করা হয়। মুহূর্তে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন 'দৈনিক জাগরণ' সংবাদপত্রের ওই সাংবাদিক। সেই ঘটনায় ৪ জনকে সদ্য গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিমল যাদবকে খুনের মামলা। কেন বিমন যাদব খুন হলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে উঠে আসছে একাধিক দিক।
৪০ বছর বয়সী বিমল যাদব পেশাগতভাবে ‘দৈনিক জাগরণ’ সংবাদপত্রের সাংবাদিক ছিলেন। শুক্রবার সকালে তাঁকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ বলছে,'অভিযুক্তে তালিকায় ৮ জনের নাম রয়েছে। চার অভিযুক্তের নাম বিপিন যাদব, আশিস যাদব, ভবেশ যাদব, উমেশ যাদব। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও দুই অভিযুক্ত রুপেশ আর ক্রান্তি যাদব বর্তমানে জেলে। তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বাকি ২ জন পলাতক।' এর আগে ২০১৯ সালে সাংবাদিক বিমল যাদবের ভাইয়ের খুন হয়। সেই খুনের সাক্ষী ছিলেন বিমল। পুলিশ জানাচ্ছে, শুক্রবার ভোর ৫.৩০ মিনিটে খুন হয়েছেন বিমল। পুলিশ বলছে, যেহেতু ভাইয়ের খুনের একমাত্র সাক্ষী ছিলেন বিমল, তাই তাকে সম্ভবত শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশের সুপারিন্টেডেন্ট অশোক কুমার সিং বলেন,'যে সাংবাদিক খুন হয়েছেন, তিনি তাঁর ভাইয়ের খুনের সাক্ষী ছিলেন। .. বিমলকে বুকে গুলি করা হয়েছে। আর তিনি তখনই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।' পুলিশ আপাতত সিসিটিভি ফুটেজের খোঁজ করছে। যদি তা পাওয়া যায়,তাহলে এই মামলায় তদন্তে আসবে আরও তথ্য। এদিকে, পুলিশ তদন্তে নেমে বিভিন্ন দিক থেকে খুনের কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।
( Video: চাঁদের আরও কাছে চন্দ্রযান-৩! বিক্রম ল্যান্ডারের 'চোখে' দেখে নিন চাঁদের ছবি)
প্রয়াত সাংবাদিকের স্ত্রী পূজা কুমারী বলছেন, ‘আমরা ঘটনার পর পরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে তাঁকে (বিমল যাদবকে) মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।’ পূজা কুমারী আরও বলছেন। তিনি বলছেন, বহুবার বিমল যাদবকে ওই খুনের মামলায় হুমকি দেওয়া হয়েছে। যাতে তিনি নিডের ভাইয়ের খুনের সাক্ষী দিতে আদালতে না যান। তারপরই এই হত্যাকাণ্ড। বিহারে এই অপরাধের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।