ত্রিপুরায় দুই-তৃতীয়াংশ আসন পাওয়ার দাবি নড্ডার, এদিকে ভরল না সভা
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 29 Aug 2022, 10:43 PM ISTকিছুটা হলেও অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির
কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির
প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন
ত্রিপুরায় কিছুটা হলেও শক্ত উইকেটে বিজেপি। জাতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সভাতে তেমন লোকজনও হল না। তবুও আগামী বছরের ভোটে দুই তৃতীয়াংশ আসন পাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি সভাপতি। দুই দিনের সফরে ত্রিপুরায় এসেছিলেন তিনি। তিনি বিজেপির নেতা মন্ত্রী ও জোট সঙ্গী আইপিএফটি-র নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলেন।
এদিন তিনি খুমুলউঙ্গে একটি সভায় বক্তব্য রাখেন, সেটা হল ত্রিপুরার স্বশাসিত তফশিলি অঞ্চলের জেলা পরিষদের (TTAADC) হেডকোয়ার্টার্স। এই সভায় যারা যাচ্ছিলেন তাদের ওপর পাথর ছুঁড়ে আক্রমণ করা হয়েছে তিনটি জেলায়। এতে আহত হয়েছেন ২৫জন। এখনও যদিও কোনও মামলা দায়ের করা হয়েনি। এদিনের সভায় তেমন লোক আসেনি। তবে বিজেপির সাফাই সভা পূর্ববর্তী হিংসার কারণেই মানুষ আসতে পারেননি। নয়তো ২৫ হাজার লোক আসত!
এদিন আগরতলাতে জেপি নড্ডা বলেন যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, অর্থনীতিতে বিজেপি যে কাজ করেছে, তার জন্য মানুষ দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন। পরের বার দুই-তৃতীয়াংশ ম্যান্ডেট পাবে দল বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। আগের বাম সরকারের সমালোচনাতেও তিনি মুখর হন। তফশিলি ও আদিবাসী মানুষদের জন্য তেমন কোনও কাজ হয়নি বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি এখন খেলা, পর্যটন, জৈব চাষ ইত্যাদি বৃ্দ্ধি পেয়েছে, বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ত্রিপুরা ও শিল্প ও পরিকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে।
এদিনের সভায় মোদী সরকারের আত্মনির্ভরতার স্লোগানকে আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে যুক্ত করে দেন নড্ডা। তিনি বলেন আদিবীসীরা যেখানেই থাকেন আত্মনির্ভর ভাবে থাকেন, সেটা মোদীও চিহ্নিত করেছেন। দেশগঠনে আদিবাসীদের ভূমিকার কথাও তিনি তুলে ধরেন ও কীভাবে দ্রোপদী মূর্মূকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়েছে, সেই কথা মানুষকে স্মরণ করে দেন তিনি।
দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বকে বন্ধ করার জন্য নড্ডা বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সবাই একযোগে কাজ করছেন ডবল ইঞ্জিন সরকারের লাভ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। গত বছর ত্রিপুরা রাজবাড়ির সদস্য প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মার দলের কাছে TTAADC ভোটে হেরেছিল বিজেপি। তারপর থেকেই দল এখানে হারানো জমি ফিরে পাওয়ার লড়াই করছে। ২০১৮ সালে বিজেপি প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। তারপর থেকে সব ভোটেই জিতেছে দল। তবে মাঝপথে মুখ্যমন্ত্রী বদলাতে হয়েছে দলকে। আদিবাসী অঞ্চলে ভিত নড়বড়ে। তাই খুব একটা স্বস্তিতে নেই গেরুয়া শিবির। নড্ডার সফরের পর অবস্থার পরিবর্তন হয়ে কিনা, সেটাই দেখার।