হিজাব বিতর্কের মধ্যেই স্কুলের পরীক্ষা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ করতে পারে কর্নাটক সরকার। এমনই ইঙ্গিত মিলল সরকারি এখ কর্তার মন্তব্যে। কর্নাটক সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, যদি কেউ পরীক্ষায় না বসে, তাহলে পরে তাকে আর পরীক্ষা নাও দিতে দেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, হিজাব বিতর্কের জেরে কর্নাটকের বহু কলেজের পড়ুয়ারা আন্দোলনে পথে। এদিকে সোমবার থেকেই সেরাজ্যে শুরু হচ্ছে প্রি-ইউনিভার্সিটির প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা। এদিকে হিজাব পরে পড়ুয়াদের ঢুকতেও দেওয়া হবে না। এই আবহে তৈরি হয়েছে চরম জটিলতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি আধিকারিক বলেন, ‘১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলমান হিজাব বিতর্কের কারণে কলেজগুলি বন্ধ থাকায় তা স্থগিত করা হয়েছিল। এখন আমরা কলেজগুলিকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছি যে যারা পরীক্ষা দেবে তাদের আর পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের ঘটনায় রাস্তায় নেমেছিলেন আলিগড় পড়ুয়ারা। হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আলিগড়ের পড়ুয়ারা কর্নাটকের বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে স্লোগান তুলেছিলেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে হিজাব পরিহিত কিছু মুসলিম মেয়েকে কর্ণাটকের উদুপির একটি সরকারি কলেজে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে একাধিক কলেজে সেরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গত কয়েকদিনে সেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তারইমধ্যে একগুচ্ছ আবেদন দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাটি এখন বিচারাধীন। এই আবহে কর্নাটক হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী হিজাব ও গেরুয়া শাল ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে।