আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির হাত ধরার কথা জানিয়েছেন জেডিএস নেতা দেবেগৌড়া। তবে এবার তাঁর এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে দলের অন্দরেই জোর বিতর্ক। জনতা দল সেকুলার নেতা তথা কর্ণাটক রাজ্য ইউনিটের সভাপতি সিএম ইব্রাহিম এনিয়ে রীতিমতো বিদ্রোহ করতে শুরু করে দিয়েছেন।
এদিকে দেবেগৌড়ার এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে এবার জেডিএসের অন্দরে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত নেতৃত্বরা। জনতা দল সেকুলার নেতা তথা কর্ণাটক রাজ্য ইউনিটের সভাপতি সিএম ইব্রাহিমের দাবি, রাজ্য সভাপতি হিসাবে আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে।
ইব্রাহিম জানিয়েছেন, আমি জেডিএসের সভাপতি। আমরাও দেখব কতজন বিধায়ক ওদের সঙ্গে যান। কতজন আমাদের সঙ্গে থাকেন। আমরা কর্ণাটকের জন্য় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে।
ইব্রাহিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমাদের প্রথম সিদ্ধান্ত হল জেডিএস কখনওই এনডিএর সঙ্গে যাবে না। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আমাদের দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হল আমরা দেবেগৌড়াকে অনুরোধ করব যাতে তিনি এই জোটের ব্যাপারে সম্মতি না দেন। তিনি জানিয়েছেন, আমরা একটা কোর কমিটি তৈরি করেছি। আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করব। এদিনের মিটিংয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আমরা তাঁকে জানিয়ে দেব।
কার্যত কর্ণাটকে এখন জোর শোরগোল। দেবেগৌড়ার ছেলে তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে এইচডি কুমারস্বামী ঘোষণা করেছিলেন তাঁদের দল এনডিএর সঙ্গে যোগ দিতে চান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার পরে তিনি একথা জানিয়েছিলেন।
ইব্রাহিম জানিয়েছেন, কুমারস্বামী আমার ভাইয়ের মতো। দেবেগৌড়া আমার বাবার মতো। আমার বার্তা হল এবার আপনারা ফিরে আসুন। জেডিএসকে শক্তিশালী করুন। পাবলিকের সাপোর্ট আমাদের সঙ্গে রয়েছে। ভোট আসবে যাবে। আমরা আবার ফিরে আসব। তিনি জানিয়েছেন, একাধিক বিধায়ক আমাদের সঙ্গে আছেন। তবে আমরা তাদের নাম কোনওদিন প্রকাশ করব না।
তবে এবার জেডিএস নেতৃত্ব বিশেষত দেবেগৌড়া শিবির কোন সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার। তাঁরা কি এনডিএ থেকে সমর্থন তুলে নেবেন?