করোনা সংক্রমণ রোধ করার উদ্দেশে মোট ৫ রাজ্য থেকে বিমান নামার উপরে নিয়ন্ত্রণ জারি করার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ জানাল কর্নাটক সরকার। বলা হয়েছে, যথেষ্ট পরিমাণ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের অবাবেই এমন আর্জি জানাতে হল। তালিকায় রয়েছে করোনা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিল নাডু, মধ্য প্রদেশ ও রাজস্থান।
এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রয়েছে মহারাষ্ট্রে। ওই রাজ্যে ৫৬ হাজারেরও বেশি করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর পরেই রয়েছে তামিল নাডু, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজারের বেশি। তালিকায় তৃতীয় নাম গুজরাতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি মানুষ এবং রাজস্থান ও মধ্য প্রদেশে মোট আক্রান্ত ৭ হাজারের উপরে।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদিইউরাপ্পার নেতৃত্বে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে এই ঘোষণা করেছেন কর্নাটকের আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জে সি মধুস্বামী।
এর আগে ওই ৫ রাজ্য থেকে সমস্ত বিমান নামার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল কর্নাটক সরকার। পরে অবশ্য বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের বিবৃতির অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাঁচ রাজ্য থেকে আসা উড়ান সংখ্যা কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে মাত্র। তবে সড়কপথে মহারাষ্ট্র, তামিল নাডু ও গুজরাত থেকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্নাটক সরকার।
বৃহস্পতিবার কর্নাটকে ১১৫ জন নতুন করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। তার জেরে রাজ্যে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা আপাতত ২,৫৩৩। এর মধ্যে রয়েছে ৮৩৪ জন রোগীর সুস্থ হয়ে ছাড়া পাওয়া এবং ৪৩৭টি মৃত্যু। এই তথ্য জানিয়েছে কর্নাটক সরকারের স্বাস্থ্য দফতর।
সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার জেরে দুই মাস বন্ধ থাকার পরে সোমবার থেকে ঘরোয়া বিমান পরিষেবা ফের চালু হলেও বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ৫ রাজ্যের বিমান নামার উপরে নিয়ন্ত্রণ ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লিখিত পাঁচ রাজ্যের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও তামিল নাডুর সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে কর্নাটকের।
এ ছাড়া এ দিন রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সাত দিনের লপ্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন পর্ব সম্পূর্ণ করার পরে অ্যাসিম্পটোমেটিক রোগীকে হোম কোয়ারেন্টাইনের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে তাঁকে এই অনুমতি দেওয়া হবে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার শর্তের ভিত্তিতে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শারীরিক তাপমাত্রা থাকতে হবে ন্যূতম ৩৭.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচে এবং নাড়ির গতি হতে হবে ৯৪% এর বেশি।
বলা হয়েছে, ৬০ বছরের বেশি বয়েসিদের ক্ষেত্রে রক্তচাপ, ডায়াবিটিস প্রভৃতি পুরনো রোগ থাকলে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।