পরিবারের সদস্য়দের সঙ্গেই তিরুবনন্তপুরম থেকে মলপ্পুরমে যাচ্ছিল ১০ বছর বয়সী মহম্মদ ইশান। কচুভেলি নীলম্বর রাজ্যরাণী এক্সপ্রেসে চেপে যাচ্ছিলেন তারা। এমন সময় রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ শৌচাগার যাওয়ার জন্য সিট থেকে ওঠে ইশান। এরপরই ট্রেন থেকে পড়ে যায় সে। অনুমান করা হচ্ছে শৌচাগারের দরজা ভেবে সে ট্রেনের মূল দরজা খুলে ফেলে। এরপরই কোনওভাবে সে বাইরে পড়ে যায়। এদিকে বাচ্চাটি ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছে এটা টের পেয়েই এমার্জেন্সি চেন টানেন পরিবারের লোকজন। ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। কেরলের মুলাভট্টম এলাকার ঘটনা।
এরপর ট্রেন লাইন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা বাচ্চাটির খোঁজ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত একটি কালভার্টের নীচে থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। তাকে স্থানীয় হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অকালেই চলে যেতে হল ছোট্ট ইশানকে। গোটা ঘটনায় শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবার। ময়নাতদন্তের পর দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিবার থাকা সত্ত্বেও কেন ১০ বছরের বাচ্চাকে একলা চলন্ত ট্রেনের শৌচাগারে পাঠানো হল সেই প্রশ্ন উঠেছে। অভিভাবকদের দায়িত্বতজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেরই দাবি অভিভাবকরা আরও একটু সতর্ক থাকলে এত বড় দুর্ঘটনা হত না।