রমেশ বাবু
কেরলে ট্রেনে আগুন ধরানোর ঘটনায় অভিযুক্ত শাহরুখ সইফির বিরুদ্ধে এবার খুনের মামলা রুজু করা হল। সে আসলে দিল্লির বাসিন্দা।২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে জেরা করার পরেই তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ অ্যাক্ট লাগু করা হতে পারে। গত ২ এপ্রিল সে আগুন দিয়েছিল বলে অভিযোগ।
সেশন জাজ এসভি মানেশ শুক্রবার সইফিকে জেরা করতে কোঝিকোড় হাসপাতালে যান। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। তার জখম হওয়ার ও জন্ডিসের চিকিৎসা চলছে সেখানে। পরে জেলা সংশোধনাগারের মেডিক্যাল সেলে তাকে পাঠানো হবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার ১ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। কিন্তু ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার জন্য সে জখম হয়েছে। তার চোখেও বড় কোনও সমস্যা নেই।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রেল পুলিশ যে মামলা রুজু করেছে সেখানে খুনের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে তিনজন নিরীহ যাত্রীর মৃত্যুর পেছনে তার হাত রয়েছে। একজন শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের পরে রেললাইন থেকে তাদের দেহ পাওয়া যায়। তবে তাদের চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল নাকি তারা বাঁচার জন্য লাফ দিয়েছিলেন তা পরিষ্কার নয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সে কারোর নির্দেশে এই কাজ করেছিল। পরে সে জানায় নিজেই সে এই পরিকল্পনা করেছিল। বোঝা যাচ্ছে সে কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। তবে পুলিশ এই খুনের মোটিভটা জানার চেষ্টা করছে।
ইতিমধ্যেই এনিয়ে স্পেশাল ইনভেশটিগেশন টিম তৈরি করা হয়েছে। তাকে জেরা করে আসল কারণটা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে আধিকারিকরা বিশ্বাস করতে চাইছেন না যে এটা তার প্রথমবার কেরলে আসা। পুলিশের ধারণা সে স্থানীয়দের চেষ্টাতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল। সে পুলিশকে জানিয়েছে ভবিষ্যতে ভালো কিছু হবে এই আশাতেই সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
পুলিশের ধারণা এটা একটা সুইসাইড মিশন ছিল। যাত্রীরা ধরে ফেলায় সে এটা করতে পারেনি।
এদিকে কুন্নুর এক্সপ্রেসে আগুন লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে। পেট্রল ঢেলে আগুন ধরানো হয়েছিল। যাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামায়। তবে ট্রেনটি একটি ব্রিজের মাঝে থেমে যায়। এরপর যাত্রীরা ট্রেনের দরজা বন্ধ করে দেয় যাতে কেউ ট্রেন থেকে নদীতে ঝাঁপ দিতে না পারে। কারণ তাতে আরও বিপদ হতে পারত।
এদিকে সিটের অপর টিম দিল্লিতে গিয়েও তদন্ত চালাচ্ছে।