পুলিশি সংঘর্ষে নিহত স্বামীর শোকে আকুল হায়দরাবাকাণ্ডে অভিযুক্ত চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশভুলুর স্ত্রী বছর সতেরোর রেণুকা। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তিনি বেঁচে থাকতে চান না বলে বিলাপ করেছেন রেণুকা।
এ দিন সকালে হায়দরাবাদ ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড পুনর্নির্মাণ করার উদ্দেশে অভিযুক্ত চার অভিযুক্তকে শাদনগরে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু সেই সময় পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আত্মরক্ষার্থে চার অভিযুক্তকে গুলি করে পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
তিনি বিলাপ করে বলছেন, ‘আমাকেও সেই জায়গায় নিয়ে গিয়ে মেরে ফেল। ওকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না। আমি মরতে চাই।’
হায়দরাবাদকাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে তেলেঙ্গানার নারায়ণপেট জেলার মাকথাল ব্লকের গাডিগান্ডলা গ্রামের বাসিন্দা বছর কুড়ির চেন্নাকেশভুলুই শুধু বিবাহিত। এক বছরও পার হয়নি রেণুকার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। কয়েক মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা রেণুকা কাঁদতে কাঁদতে এ দিন বলেন, ‘পুলিশ এবার আমার থেকে স্বামীকে ছিনিয়ে নিল।’
ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে আর এক অভিযুক্ত নিহত জল্লু শিবার বাবা জল্লু রাজাপ্পা কিন্তু জানিয়েছেন, ‘সারা বিশ্ব বলছে আমার ছেলে ওই ভয়ঙ্কর অপরাধ করেছিল। ওদের চার জজনের মধ্যে একজন স্বীকার করেছিল যে তরুণীকে ওরা ধর্ষণ ও খুন করেছে। এবার আমার ছেলে তার শাস্তি পেয়েছে।’ তবে রাজাপ্পা জানতে চান, এ পর্যন্ত ধর্ষণ ও খুনে ঘটনায় অপরাধীদের পুলিশ একই রকম শাস্তি দিয়েছে কি না।
আর এক অভিযুক্ত চল্লু নবীনের বাবা ইয়েলাপ্পা এ দিন সকালের ঘটনাকে ঠান্ডা মাথায় পুলিশের খুন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ এর আগে ছেলের সঙ্গে আমাদের দেখা করতে বা কথা বলতে দেয়নি। কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার আগে অপরাধ প্রমাণ করার জন্য ওদের হাতে অনেক সময় ছিল। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই ওদের কেন শাস্তি দেওয়া হল?’
হায়দরাবাদকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফের মা এ দিন ছেলের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পরে জ্ঞান হারান। পরে সুস্থ হলেও তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।