দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে চারমাস। এবার আবার শুরু হল কলকাতা–বাংলাদেশ বিমান পরিষেবা। দেখা গেল, রবিবার বেশিরভাগ আসনেই যাত্রী নিয়ে ঢাকা রওনা দিল বাংলাদেশ ও ইন্ডিগোর দু’টি বিমান। দু’টি বিমানেই ঢাকা থেকে কলকাতা আসার যাত্রী সংখ্যা ছিল বেশ কম। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে এপ্রিল মাসে দুই দেশই সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।
রবিবার বাংলাদেশের ৭০ আসনের ড্যাশ–এইট বিমান ১৭ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতায় আসে। আবার কলকাতা থেকে সেই বিমান দুপুরে কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে উড়ে যায় ৬৭ জন যাত্রী নিয়ে। কলকাতা থেকে ১৮৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা উড়ে যায় ইন্ডিগো বিমান। যা ৮৮ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতায় ফিরে আসে বিকেলে। এয়ার ইন্ডিয়ার সোমবারের কলকাতা–ঢাকা বিমানেও প্রায় সব আসন সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে।
এদিকে কলকাতা–বাংলাদেশ বিমান পরিষেবা চালুর দিকে অনেকেই তাকিয়ে ছিলেন। ভারতের পক্ষ থেকে সর্ম্পূণ টিকা নেওয়া যাত্রীদের জন্যও বিমানে ওঠার আগে এবং গন্তব্যে পৌঁছনোর পরে আরটি–পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারণ টিকা নেওয়ার পরও অনেকের করোনাভাইরাস হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তাই সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্যই বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ বিমানযাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটি–পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এমনকী গন্তব্যে পৌঁছনর পরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে। এই বিষয়ে বিমান সংস্থাগুলির মত, বাড়তি বিধিনিষেধ যাত্রীদের উৎসাহে ভাটা তৈরি করতে পারে। এই বিধিনিষেধগুলি শিথিল করা প্রয়োজন বলেও অনেকে মনে করছেন। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে এই আশঙ্কায় বিধিনিষেধ শিথিল করাহচ্ছে না।