করোনা আবহে দেশজুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। এর মধ্যে নীতি নির্ধারকদের মাথায় যে চিন নিয়ে চিন্তা ঘুরছে, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সেটা স্পষ্ট। চিনকে কড়া সতর্কবার্তা দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
দেশের উদ্দেশ্যে ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন যে কোনও আগ্রাসনের সমুচিত জবাব দিতে ভারত যথেষ্ট সক্ষম। তিনি বলেন কোভিড যখন সভ্যতার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে উঠে এসেছে, তখন এক পড়শি দেশ আগ্রাসনের ভুল পথ বেছে নিয়েছে।
কোবিন্দ বলেন সারা বিশ্ব এখন ভারতের কথা মেনে নিয়েছে যে বসুদেব কুটুম্বকম। কিন্তু একটি দেশ তা মানছে না। প্রসঙ্গত, ঠিক দুই মাস আগে ১৫ জুন গালওয়ানে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০জন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। তাঁদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে কোবিন্দ বলেন যে ভারতমাতার যোগ্য সন্তানরা দেশের সম্মান অক্ষুন্ন রাখার জন্য শহিদ হয়েছেন। সারা ভারত নতমস্তকে তাঁদের কুরনিস জানাচ্ছে।
একই সঙ্গে কোবিন্দ বলেন যে তাঁদের বীরত্ব এটি প্রমাণ করেছিল যে ভারত যেমন শান্তি চায় তেমন কোনও আগ্রাসী শক্তিকে যোগ্য জবাব দিতেও সক্ষম। ভারতের সেনা, আধাসেনা ও পুলিশ বাহিনীর প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রায় একই সুরে চিনকে একহাত নিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিন সেনাবাহিনীকে রেডিও বার্তায় রাজনাথ বলেন যে দেশের পুরো বিশ্বাস আছে যে জওয়ানরা এটি নিশ্চিত করবেন যে অন্য কেউ ভারতের এক ইঞ্চি জমিও যেন নিতে না পারে। রাজনাথ বলেন যে কেউ চেষ্টা করলে, আগের মতোই তারা যোগ্য জবাব পাবে।
রাজনাথ বলেন যে ভারত কখনো অন্যদের আক্রমণ করতে চায় না, কিন্তু কেউ যদি আগ্রাসন দেখায় তার যোগ্য জবাব দিতে নয়াদিল্লি প্রস্তুত বলে তিনি জানান। তিনি বলেন যে নিজেদের আত্মমর্যাদা হানি হতে দেবে না ভারত।
গালওয়ানে মৃত শহীদদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে রাজনাথ সিং বলেন যে তিনি তাঁদের পরিবারবর্গকে বলতে চান যে সারা দেশ আপনাদের পাশে আছে। সেনাদের যা প্রয়োজন সেগুলির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সিডিএস পদে বিপিন রাওয়াত দায়িত্ব নেওয়ার পর সেনার তিন বিভাগের মধ্যে তালমিল আগের চেয়ে ভালো হয়েছে বলে জানান তিনি। রাফাল জেট আসা ভারতের সামরিক ইতিহাসে এক নয়া যুগের সূচনা বলে জানান রাজনাথ সিং। থাঞ্জাভুরে সুখোই-৩০ রাখায় ভারতীয় মহাসাগরে দেশের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে বলেও দাবি করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।