বড় ধরনের সাফল্য পেল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হল লস্কর-ই-তইবার রিক্রুটারকে। যার শিকড় বাংলা পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার লস্কর-ই-তইবার সদস্য আলতাফ আহমেদ রাথেরকে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএর একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এনআইএর তদন্তকারী দলটি কাশ্মীরের বন্দিপোরায় হানা দিয়ে আলতাফকে গ্রেফতার করে।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের বন্দিপোরার বাসিন্দা আলতাফ সেখানকার একটি স্কুলের শিক্ষক। তদন্তে নেমে এনআইএ জানতে পারে, এই আলতাফই বাদুড়িয়ার তানিয়া পারভিনকে পাকিস্তানের এই জঙ্গিগোষ্ঠীর মাথাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে সেতুবন্ধনের কাজ করেছিল। তদন্তে এনআইএ আরও জানতে পেরেছে, এই আলতাফ যুবক যুবতীদের জেহাদের জন্য উস্কে তাদেরকে দলের সদস্য পদ পাইয়ে দেওয়ার কাজ করত।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার তানিয়া পারভিনের সঙ্গে এই ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগ হয়েছিল। সেখান থেকেই আলতাফ তানিয়া পারভিনকে তাদের দলে যোগ করায়। তারপর তানিয়াকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে রাজি করানো পরই তাকে পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিগোষ্ঠীর মাথাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয় আলতাফ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ধৃত এই জঙ্গী যুবক—যুবতীদের ফুঁসলিয়ে তাদের ভারতে জেহাদের জন্য আগ্রাসী মনোভাপন্ন করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণও দিত। নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা ছিল আলতাফের বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কীভাবে এই ব্যক্তি গোটা অপারেশনটি চালাত তার কাছ থেকে জেরা করে জানতে চেষ্টা করছেন এনআইএ—র তদন্তকারীরা।