দিল্লি সরকারের পরিচালিত ও রাজধানীর সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালে শুধু দিল্লির নাগরিকদের চিকিত্সা হবে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিলেন দিল্লির লেফট্যানেন্ট জেনারেল অনিল বইজাল।
দিল্লির এলজি বইজাল একটি বিবৃতিতে রাজ্য সরকারকে এটা মনে করিয়ে দিয়েছেন যে সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন রায়ে বলেছে যে স্বাস্থ্যের অধিকার বেঁচে থাকার অধিকারের একটি বড় অংশ। সেখানে এভাবে কোনও মানুষকে চিকিত্সা থেকে বঞ্চিত রাখা যায় না বলেই জানান এলজি অনিল বইজাল।
তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন যে কোনও রোগীকে যেন ফেরানো না হয় এই অজুহাতে যে তিনি দিল্লির নাগরিক নন। অনিল বইজালের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এতে দিল্লিবাসীর অসুবিধা বাড়বে ও তারা চিকিত্সা পাবেন না ঠিক করে, বলে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক কাঠি বেড়ে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোধিয়া এতে বিজেপির হাত দেখছেন। তাঁর কথায়, বিজেপি বলাতেই এই এলজি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিল্লিতে এরপর কোনও করোনা রোগী মারা গেলে তার দায় বিজেপিকে নিতে হবে, বলে দাবি করেন উপ মুখ্যমন্ত্রী।
দিল্লিতে প্রায় ২৮ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত। খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী করোনার সিম্পটম নিয়ে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছেন।. আগামিকাল কেজরিওয়ালের পরীক্ষা হবে। রবিবার কেজরিওয়াল বলেন বেডের সংখ্যা কম. তাই শুধু দিল্লির নাগরিকদের চিকিত্সা হবে। এই নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কেজরিওয়াল যদিও বলেন ৯০ শতাংশ দিল্লিবাসী এটাই চান।
এক দিনের মধ্যেই যদিও এলজি-র পেনের খোঁচায় কেজরিওয়ালের চালু করার নিয়ম বদলে গেল। দিল্লি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল বলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে খারিজ করতে পারেন এলজি। সেই সুযোগই কাজে লাগালেন এলজি।