মহুয়া দিয়ে তৈরি মদে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার পথে হাঁটছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘোষণা করেন, মহুয়া দিয়ে মদ তৈরি হলে তা বেআইনি বলে ঘোষিত হবে না। আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা এই পানীয় বিক্রিও করতে পারবেন। এই বিষয়ে নতুন আইন আনার কথাও জানান মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
গত সোমবার আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি সেই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে মুখ্যমন্ত্রী গলায় ঢোল ঝুলিয়ে বাজাচ্ছেন, এমন দৃশ্যও দেখা যাচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘মহুয়া দিয়ে মদ তৈরি করতে পারবেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা। একে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এই পানীয়কে ঐতিহ্যবাহী মদ বা রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী পানীয়ের তালিকায় সংযোজিত করা হবে।’
একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আদিবাসী সম্প্রদায়ের যাঁরা আছেন, তাঁরা নিজেদের পছন্দ মতো জঙ্গল তৈরি করতে পারবেন। পছন্দমতো গাছপালা, চারা রোপণ করতে পারবেন। সেখানে যে কাঠ বা ফল হবে, তাতে পুরো অধিকার থাকবে আদিবাসীদের।’ এদিন আদিবাসীদের আবাসিয়া ভূমি অধিকার যোজনায় বসবাসের অধিকার দেওয়ার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।বিরসা মুন্ডা-সহ আদিবাসীদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবদানকে স্মরণে রেখে ১৫ থেকে ২২ নভেম্বর সপ্তাহব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি পালন করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই উপলক্ষে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকারও। এই প্রসঙ্গে টুইটে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘কংগ্রেস জনজাতীয় নেতাদের সম্মান করেনি। বিরসা মুন্ডা, শংকর শাহ, রঘুনাথ শাহের মতো নেতাদের দিকে তারা নজরও দেয়নি। কিন্তু আমরা সম্মান দেব।’
তবে মধ্যপ্রদেশ সরকারের আদিবাসী সম্প্রদায়কে নিয়ে বিশেষ আয়োজন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, মধ্যপ্রদেশে তফসিলি উপজাতিদের জন্য ৪৭টি আসন সংরক্ষিত থাকলেও ২০০৮ সালে বিজেপি মাত্র ২৯টি আসনে জিতেছে। সেজন্যই এই বিশেষ আয়োজন।